কাটোয়ায় ওসি-আক্রান্তের ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের, অভিযুক্ত কাউন্সিলরের স্বামী
কাটোয়ায় মদের ঠেকে অভিযান চালাতে গিয়ে ওসি-আক্রান্তের ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের। অভিযোগ, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় রাজোয়ার।
কাটোয়ায় মদের ঠেকে অভিযান চালাতে গিয়ে ওসি-আক্রান্তের ঘটনায় নাম জড়াল তৃণমূলের। অভিযোগ, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় রাজোয়ার। তিনি তৃণমূল কাউন্সিলর মাধবী রাজোয়ারের স্বামী। তাঁর নেতৃত্বেই পুলিশ পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩ জনকে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীও। মূল অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয় রাজোয়ারকে গ্রেফতার করা যায়নি।
রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার দাঁইহাটে রাজোয়ার পাড়ায় মদের ঠেক তুলতে গিয়েছিলেন দাঁইহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি কৃষ্ণসখা বিশ্বাস। ধৃতদের ছিনিয়ে নিতে গিয়ে তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। আক্রান্ত হন আরও দুই পুলিশকর্মী। অচৈতন্য অবস্থায় দাঁইহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি এলাকায় পড়েছিলেন প্রায় চার ঘণ্টা। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানি গিয়েছে, মদের ঠেকের বিরুদ্ধে এই অভিযানে নেমে ওসি কৃষ্ণসখা বিশ্বাস কয়েকজন মদ্যপ যুবককে আটক করেন। তাদের নিয়ে থানায় ফেরার পথে আক্রান্ত হন তিনি। আটক যুবকদের পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে আক্রমণ করে তাদের সঙ্গীরা। তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় রাজোয়ারের নেতৃত্বেই এই হামলা চলে বলে অভিযোগ। ওসিকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ-লাঠি দিয়ে প্রহার করা হয়। ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান ওসি।
এই অবস্থায় রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় মদ্যপরা। ওসিকে রক্ষা করতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরও দুই পুলিশ কর্মী। তাঁরাও গুরুতর জখম। তাঁদেরও প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। ওসিকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে। তারপর রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।