সাইবার কাফের আড়ালে জালনোটের রমরমা কারবার হাওড়ায়
কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে পড়ল কেউটে। জালনোট উদ্ধারের তদন্তে নেমে গোয়েন্দা জালে উঠে এল জাল নোটের রমরমা কারবারের ছবি। সাইবার কাফের আড়ালে জালনোটের ব্যবসা।
কলকাতা, ৩ মার্চ : কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে পড়ল কেউটে। জালনোট উদ্ধারের তদন্তে নেমে গোয়েন্দা জালে উঠে এল জাল নোটের রমরমা কারবারের ছবি। সাইবার কাফের আড়ালে জালনোটের ব্যবসা। আর এই জাল নোটের কারখানা মিলল কলকাতার অদূরেই হাওড়ার বাইনানে। ওয়াটগঞ্জের জাল নোট পাচারকারীদের জেরা করে উঠে আসে বাইনানের সাইবার কাফের নাম। সেখানে হানা দিয়ে কলকাতার গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা আধিকারিকরা বাজেয়াপ্ত করল কম্পিউটার, স্ক্যানার। গ্রেফতার করা হল সাইবার কাফের মালিক মুকিদ মল্লিককে।[দু হাজারের জাল নোটে ৫৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার, ছাপা হয়েছে রাজ্যেই,স্টিকার লাগানো এসবিআইয়ের, ধৃত ৫]
বাংলায় জালনোট পাচার চক্র বলতে চোখ বুজিয়ে মালদহের নাম বলে দেওয়া যেত। এখন কলকাতার উপকণ্ঠেই রমরমা জাল নোট ছাপানোর কাজ চলছে। শুক্রবারই সিআইডি তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে হাওড়ায় ছাপানো হত নতুন দু'হাজার টাকার জাল নোট। এদিন মূল অভিযুক্তকে নিয়ে হাওড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম বাইনানের সাইবার কাফেতে হানা দিতেই স্পষ্ট হয়ে গেল গোয়েন্দাদের ধারণা ভিত্তিহীন নয়।[নোট বাতিলের ১০০ দিনের মধ্যে বাংলার এই জেলা হয়ে উঠেছে 'জাল নোটের হাব'!]
ওয়াটগঞ্জের জাল নোট কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনিরুল মোল্লা ওরফে উজ্জ্বলকে জেরা করে উঠে আসে মুকিদ মল্লিক নামে সাইবার কাফের মালিকের নাম। উজ্জ্বলের বাড়ি হাওড়ারই জয়পুরে। জয়পুর থেকে বাইনানে ওই সাইবার কাফেতে গিয়ে উজ্জ্বল অর্ডার দিয়ে আসত। সেইমতো ডিজাইন হত সাইবার কাফেতে। নতুন দু'হাজার টাকার নোট স্ক্যান করে ডিজাইন বানানোর কাজ হত। তারপর সেই টাকা ছাপানো হত অফসেট প্রিন্টিংয়ে।[জালনোট পাচারের করিডোর ছিল মালদহ, এখন হাওড়াতেই নকল দু'হাজারের ছাপাখানা!]
কম্পিউটার, স্ক্যানার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সাইবার কাফের মালিক ও তার ভাগনাকেও ধরে নিয়ে গিয়েছে গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা। এরপর লালবাজারে নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে অবশেষে।[কলকাতায় জাল নোট ছড়ানোয় পাকিস্তানের হাত! দাবি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কলকাতার ফ্যান্সি মার্কেট থেকে ধরা পড়ে পাঁচ জাল নোট কারবারি। তারা ওই মার্কেটে মোবাইল কিনতে গিয়েছিল। আর জাল নোটে পেমেন্ট করেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় তারা। ধৃতদের জেরায় উঠে আসে হাওড়াতেই ছাপানো হত এই নোট।