আইনজীবীকে থামিয়ে উদয়নের আর্জি, ‘আমিই খুন করেছি আকাঙ্ক্ষাকে, আমাকে শাস্তি দিন’
আইনজীবীকে থামিয়ে ভরা আদালতে বিচারকের সামনে উদয়নের আর্জি, ‘আমিই খুন করেছি আকাঙ্ক্ষাকে। আমি জামিন চাই না। আমি শাস্তি পেতে চাই। হুজুর আপনি আমাকে শাস্তি দিন।’
বাঁকুড়া, ১৫ ফেব্রুয়ারি : আইনজীবীকে থামিয়ে ভরা আদালতে বিচারকের সামনে উদয়নের আর্জি, 'আমিই খুন করেছি আকাঙ্ক্ষাকে। আমি জামিন চাই না। আমি শাস্তি পেতে চাই। হুজুর আপনি আমাকে শাস্তি দিন।' বাঁকুড়া আদালতে সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাসকে তোলার পরই একপ্রস্থ নাটক দেখল ভরা আদালত কক্ষ।[উদয়নের গোপন জবানবন্দির আবেদন আদালতে, রায়পুর পুলিশ চায় ট্রানজিট রিমান্ডে]
উদয়নের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, উদয়ন দাস আকাঙ্ক্ষাকে খুন করেনি। আকাঙ্ক্ষা আত্মহত্যা করেছে। তাই তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক। তখনই আইনজীবীকে থামিয়ে উদয়ন বলে ওঠেন, 'হুজুর আমিই খুন করেছি আকাঙ্ক্ষাকে।' এরপর আইনজীবীকে বিচারক প্রশ্ন করেন, আপনি কি আপনার মক্কেলের সঙ্গে কথা না বলেই জামিনের আবেদন করেছেন?
আইনজীবী জানান, মক্কেলের কথা মতোই তিনি এই সওয়াল করেছেন। এরপর বিচারক অভিযুক্ত উদয়নের মুখে স্বীকারোক্তি শুনে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার তাকে ফের আদালতে পেশ করা হবে। ইতিমধ্যে সিজিএম অরুণকুমার নন্দীর কাছে উদয়নকে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে রায়পুর পুলিশ।
আট দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে বুধবার ফের বাঁকুড়া আদালতে পেশ করা হয় আকাঙ্ক্ষা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাসকে। পুলিশের কাছে সে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। সেইমতো বাঁকুড়া পুলিশ আদালতের কাছে তার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানায়। বাঁকুড়া পুলিশের থার্ড আদালত বিচারক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে স্বীকারোক্তিমূলক গোপন জবানবন্দি দেবে।
নিয়ম অনুযায়ী গোপন জবানবন্দি দিতে গেলে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জবানবন্দির আগে একদিন ভাবার সময় দেওয়া হয়। তারপরই তার গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত। সেইমতো বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া পুলিশের আবেদন মেনে উদয়নের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। তাই তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিতে একদিন দেরি হবে রায়পুর পুলিশের। আগামীকালই এই মামলার শুনানি।