সালিশি সভায় নিদান, নাবালিকা বিয়ের প্রতিবাদ করে প্রহৃত অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী
নাবালিকা বিয়ের প্রতিবাদ করে প্রহৃত হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। সালিশি সভা ডেকে প্রতিবাদী ছাত্রীকে মারধরের নিদান দেওয়া হয় প্রচন্ড মারের চোটে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছাত্রটি।
মালদহ, ১৮ জানুয়ারি : নাবালিকা বিয়ের প্রতিবাদ করে প্রহৃত হল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। সালিশি সভা ডেকে প্রতিবাদী ছাত্রীকে মারধরের নিদান দেওয়া হয় প্রচন্ড মারের চোটে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছাত্রটি। তাকে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকই পলাতক গ্রামের মোড়লরা। আতঙ্কে ঘর ছাড়া ছাত্রীটির পরিবারও।
মঙ্গলবার রাতে ইংরেজবাজারের বাসিন্দা আকালু সবজি ১৪ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করে। তারই প্রতিবাদ করেছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী। তার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়। সেখানেই প্রতিবাদী ছাত্রীটিকে মারধরের নিদান দেওয়া হয়। গ্রামের মাতব্বরদের নির্দেশ মেনে মারধর করা ছাত্রীটিকে।
এখন থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে ছাত্রীটির পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই আতঙ্কেই ঘর ছেড়েছেন ওই ছাত্রীর পরিবার। পুলিশ সুপরা এই ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত করে শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
পাত্রের বয়স ১৬। পাত্রীর ১৪। বিয়ের আসরে গিয়ে তা দেখে অবাক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল। সে তখন জানত না তার জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে। প্রতিবাদী ছাত্রীর কথা শুনে খেপে যান বিয়ের আসরে উপস্থিত গ্রামের মোড়ল বুক্কু সবজি। তিনি ওই ছাত্রীটিকে প্রহারের নিদান দেন। কাঁচা কঞ্চি দিয়ে তাকে প্রহার করা হয়। মিলকি ফাঁড়ির পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ, মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ ধমক দেয় ওই ছাত্রীটিকে।