মোক্ষলাভের আশায় মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যার্থীদের স্রোত মিশে গেল সাগরসঙ্গমের পুণ্যস্নানে
মোক্ষলাভের আশায় মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যার্থীদের স্রোত মিশে গেল সাগর সঙ্গমে। শনিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই মহাপুণ্যস্নানে সামিল হলেন আসমুদ্র হিমাচলের মানুষ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৩ জানুয়ারি : মোক্ষলাভের আশায় মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যার্থীদের স্রোত মিশে গেল সাগর সঙ্গমে। শনিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই মহাপুণ্যস্নানে সামিল হলেন আসমুদ্র হিমাচলের মানুষ। গঙ্গাসাগরে জনসুনামি পৌষ সংক্রান্তির ভোর থেকেই।
'সব তীর্থ বারবার, সাগর তীর্থ একবার'- জনমানসে এই প্রচার তো আছেই। এখন অবশ্য অনেক প্রতিকূলতাকে জয় করে গঙ্গাসাগরেও বারবার আসেন পুণ্যার্থীরা। জাতীয় মহোৎসব বলে কথা, প্রশাসনের যেমন কোনও খামতি নেই ব্যবস্থাপনায়, তেমনই সাধারণেরও আগ্রহের শেষ নেই। এদিন সেই ঘটনারই সাক্ষী থাকল গঙ্গাসাগর।
শুধু এ রাজ্য নয়, দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজির হয়েছেন পুণ্যার্থীরা। এসেছেন বিদেশিরাও। মকর সংক্রান্তির এই পুণ্য তিথিতে মোক্ষলাভের আশা নিয়ে গঙ্গাসাগরে ডুব দেন পুণ্যার্থীরা। এবার হাড় কাঁপানো ঠান্ডাকেও হার মানালেন পুণ্যার্থীরা। গঙ্গাসাগরের বেলাভূমিতে হাজার হাজার আখড়া। হাজির হয়েছেন দেশেরি বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধু-সন্তরা। এবার আবার কুম্ভ মেলা নেই। তাই ভিড় বেশি সাধু-সন্তদের। ভিড় পুণ্যার্থীদেরও।
সেইমতো পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার, ভারত সেবাশ্রমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রস্তুত। মোতায়েন রাখা হয়েছে সাঁতারু, ডুবুরি, উপকূলরক্ষীবাহিনী। তারপর প্রতিদিনই একজন না একজন মন্ত্রী যাচ্ছেনই নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে। শুধু গঙ্গাসাগরের বেলাভূমিতেই নয়, কমিল মুনির আশ্রমে উপচে পড়া ভিড় জমে। সেখানেও বাড়তি নিরাপত্তা মজুদ।
গঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থল এই গঙ্গাসাগর। ক্রমে এই মিলনস্থলই কার্যক্রমে হয়ে ওঠে তীর্থক্ষেত্র। ছোটো-বড়ো ৫১টি দ্বীপ নিয়ে এই সাগরদ্বীপ। গঙ্গার মর্ত্যে আসা আর সগর রাজার পুত্রদের দীবননাদের লোকগাথাকে কেন্দ্র করেই গঙ্গাসাগর হয়ে ওঠে তীর্থভূমি। এই তীর্থভূমিতেই চিরজাজ্বল্যমান কপিল মুনির আশ্রম। কালের নিয়মে সমুদ্রগর্ভে তা বিলীন হয়ে গেলেও, পরবর্তীকালে গড়ে তোলা হয় কপিল মুনির মন্দির।