উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীনই আরাবুলের মস্তানি, দর্শক পুলিশ
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা চলছিল। সেই সময় ভাঙড়ের নারায়ণপুর হাই স্কুলে দলবল নিয়ে আসেন তিনি। শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে ঢুকে পড়েন ক্লাসরুমে। নির্দেশ দেন, পরীক্ষার্থীদের সব উত্তর বলে দিতে হবে। এক শিক্ষিকা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানানোয় তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন বলে অভিযোগ। পুলিশকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে মিডিয়া পৌঁছে যাওয়ায় পিঠটান দেন তিনি। খবর পৌঁছয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কানে। তিনি ফোন করেন আরাবুল ইসলামকে। কথা বলেন দীর্ঘক্ষণ। পরে অবশ্য আরাবুল ইসলাম গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, তিনি ওই স্কুলের আশপাশেই যাননি। কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করতে পরিকল্পনা মাফিক অভিযোগ আনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রাজনীতিক প্রেক্ষাপট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এই ঘটনাকে পাত্তা দেননি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। তিনি বলেছেন, ওখানে পুলিশ ছিল। সংসদের পর্যবেক্ষক ছিল। তার পরও আরাবুল ইসলাম ঢুকে মস্তানি করেছে, এটা অতিরঞ্জন। এর পিছনে অন্য রহস্য আছে বলে দাবি করেন তিনি। অর্থাৎ অভিযোগকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিকেই বল ঠেলে দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ভাঙড় কলেজে এক শিক্ষিকাকে জলের জগ ছুড়ে মেরেছিলেন আরাবুল ইসলাম। তখনও বেজায় বিতর্ক হয়েছিল।