বীরভূম তৃণমূলে জোর ধাক্কা, ‘কেষ্টা’র গড়ে অঞ্চল সভাপতি যোগ দিলেন বিজেপিতে
বীরভূম তৃণমূলে জোর ধাক্কা। একেবারে ‘কেষ্টা’র গড়ে আঘাত হানল বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের নন্দীগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আসানুর রহমান ঘাসফুল ছেড়ে হাতে তুলে নিলেন পদ্মকে।
বীরভূম, ৬ এপ্রিল : বীরভূম তৃণমূলে জোর ধাক্কা। একেবারে 'কেষ্টা'র গড়ে আঘাত হানল বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূমের নন্দীগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি আসানুর রহমান ঘাসফুল ছেড়ে হাতে তুলে নিলেন পদ্মকে। সঙ্গে শতাধিক সক্রিয় কর্মী। অনুব্রত গড়ে পদ্ম ফুটিয়ে বিশাল অনুষ্ঠান করল বিজেপি। রামনবমীর রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই তৃণমূলে ভাঙন নয়া মাত্রা পেল রাজ্য রাজনীতিতে।
এদিন বীরভূমের নন্দীগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তৃণমূল ছেড়ে আসা আসানুর-সহ অন্যান্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সম্পাদক শুভাশিস রায়চৌধুরী। বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব আসানুরের যোগদানে উজ্জীবিত। এবার পঞ্চায়েতে তারা জোর লড়াই দেবে বলে বিশ্বাস বিজেপি-র।
এদিন সিপিএম ও কংগ্রেস ভেঙেও বিজেপি-তে যোগদান করেন অনেকে। কাঠিয়া অঞ্চল সিপিএমের নেতা মহম্মদ আসগর, কংগ্রেসের পলসা অঞ্চল সভাপতি আবদুল লতিফ প্রমুখ নেতারা বিজেপি-র শক্তি বাড়ালেন বীরভূমে। যদিও পঞ্চায়েতের আগে বিজেপি-র এই শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এসব লোক দেখানো বলেই ব্যাখ্যা তাঁর।
তৃণমূল ছেড়ে আসা আসানুর বলেন, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই বিজেপি-তো যোগ দিয়েছি। তৃণমূলে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা যাচ্ছিল না। স্বচ্ছ ভারত গঠনের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। মুরারই তৃণমূল সভাপতি সোমেন মুখোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদান করার কোনও খবর তাঁর কাছে নেই।
বুধবার তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, বহু জায়গায় একই নেতা-কর্মীকে নিয়ে গিয়ে বিজেপি দেখাচ্ছে তাঁদের শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে। এসব করে ভোটে জোতা যায় না। মানুষের সঙ্গে থাকতে হয়। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। ফলে জয় নিয়ে আমাদের কোনও চিন্তা নেই।