টাকা না দিলে কাজ বন্ধ, দলে মাতব্বরি করছে ফড়িংরা, বিস্ফোরণ শিশিরের
আরও পড়ুন: 'কাঁটা' উপড়ে ফেলল তৃণমূল, দল থেকে বহিষ্কৃত আরাবুল ইসলাম
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস আর শিশির-শুভেন্দু সমার্থক। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী আর তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীই দলের স্তম্ভ। কিন্তু দলে মুকুল রায়ের জায়গা পোক্ত করতে আস্তে আস্তে কোণঠাসা করা হয়েছিল শিশিরবাবুকে। এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরতে শুরু করলেন। চনমনে তরুণ শুভেন্দু অধিকারীর ডানা ছাঁটা শুরু হল। শিশির-শুভেন্দু শিবিরের চরম বিরোধী তথা জেলার আর এক তৃণমূল নেতা অখিল গিরিকে মদত জোগানো হয়েছে। এখন তৃণমূলের যুব সংগঠনে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুবাবুকে। প্রথমে নিজের অপমান, পরে ছেলের অপমান। এর জেরে ক্ষুব্ধ শিশির অধিকারী শেষ পর্যন্ত ধৈর্য হারিয়ে মুখ খুললেন বলে মনে করা হচ্ছে।
"সিপিএম-ও ৩৪ বছর ধরে তোলা তুলত। সেই কায়দায় এখন চলছে তৃণমূল", বলল বিজেপি
শিশিরবাবু বলেছেন, "যা দেখছি, অবাক হয়ে যাচ্ছি। যেখানে উন্নয়নের কাজ শুরু হচ্ছে, সেখানেই আমাদের দলের লোকজন গিয়ে টাকা চাইছে। তোলা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পুকুর কাটা, পুল তৈরি, রাস্তা তৈরি সব ক্ষেত্রে পার্সেন্টেজ ধরা থাকছে। নীচ থেকে ওপরতলা, সর্বত্র এমন লোক রয়েছে। শুধু পঞ্চায়েত স্তরে এ সব চলছে ভাবলে ভুল হবে। সাংসদ-বিধায়করা সাধু নাকি? শহর থেকে কিছু ফড়িং এসে গ্রামে মাতব্বরি করছে।"
বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা এ প্রসঙ্গে বলেন, "সিপিএম-ও ৩৪ বছর ধরে তোলা তুলত। সেই কায়দায় এখন চলছে তৃণমূল। শিশিরবাবু সত্যিটা বলে দিয়েছেন। আর কোনও সন্দেহ নেই যে, তৃণমূল কংগ্রেস একটা দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে।"
সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, "তৃণমূলে সুযোগসন্ধানীরা ভিড়ছে টাকা রোজগারের ধান্দায়। শিশির অধিকারী বিলম্বে অনুশোচনা করছেন। তবুও ভালো, সত্যিটা বলেছেন।"