মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইসলামপুর কলেজের গভর্নিং বডি থেকে অপসারিত করিম চৌধুরী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইসলামপুর কলেজের গভর্নিং বডি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা করিম চৌধুরীকে।
উত্তর দিনাজপুর, ১১ ফেব্রুয়ারি : শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটছে না কিছুতেই। এবার ময়দানে নামতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইসলামপুর কলেজের গভর্নিং বডি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেতা করিম চৌধুরীকে।[দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট, কী ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র?]
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে একটার পর একটা কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোষ্ঠী সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে শাসকদল। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে কতজনকে ছাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী? এভাবে নেতাদেরকে পদ থেকে সরিয়ে কি পাকাপাকি সমাধান সূত্র মিলবে?[রাজ্য বাজেট ২০১৭ : পরিবেশ বান্ধব এই পণ্যগুলিকে ভ্যাটমুক্ত করল মমতা সরকার]
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার ছাত্রভোট উপলক্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর কলেজ। বিরোধী সিপিএম বা বিজেপি বা কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন নয়, শাসকদলের গোষ্ঠীসংঘর্ষেই উত্তপ্ত কলেজ। শুরু হয় ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর হয় পুলিশের গাড়ি। এই ঘটনায় আহত হন পুলিশ কর্মীরাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদাতে গ্যাসের সেল ছুড়তে হয় পুলিশকে।[জনমুখী বাজেটে অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে সিপিএম-বিজেপিকে তুলোধনা মমতার]
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কানাইয়া আগরওয়াল ও তৃণমূল নেতা করিম চৌধুরীর অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় কলেজে। এরপর দুই গোষ্ঠীই বৈঠকে বসে সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা করে। তবে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, করিম চৌধুরীকে পরিচালন সমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার।[রাজ্য বাজেট পেশের আগে কেন্দ্রের নোট বাতিল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ বিধানসভায়]
তারপর থেকে কলেজ আপাত শান্ত। শুরু হয়েছে বার্ষিক ফর্ম ফিলাপ। পুলিশি প্রহরার মধ্যেই চলছে কলেজ। আর কোনও অশান্তি হলে বরদাস্ত করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।