তৃণমূল বনাম তৃণমূল : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ টিএমসিপি সদস্যকে বহিষ্কার
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যকে বহিষ্কার করল দল। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর ১০ টিএমসিপি নেতাকে বহিষ্কার জেলা সভাপতির।
মালদহ, ১৩ ডিসেম্বর : গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যকে বহিষ্কার করল দল। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টেপাধ্যায়ের নির্দেশের পর ১০ টিএমসিপি নেতাকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি। এই বহিষ্কারের মাধ্যমে দলের ছাত্র সংগঠনের কাছে একটা বর্তা পৌঁছে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বুঝিয়ে দিলেন শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
গত ৫ ডিসেম্বর মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াই হয়। রাজনীতির পাশা খেলায় আবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শিক্ষাঙ্গন। দুই গোষ্ঠীর সঙ্ঘর্ষে জখম হয়েছিলেন ১০ জন ছাত্রছাত্রী।
ছাত্র সংসদের দখল নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষ বাধে। অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর গোষ্ঠীর সঙ্গে মোয়াজ্জেম গোষ্ঠীর লড়াইয়েই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তখনই শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি তিনি মানবেন না। এই ঘটনার যাথযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি প্রমাণিত হয় শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা এই ঘটনায় জড়িত, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাত্র আটদিনের মধ্যে দলীয় ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে শিক্ষাঙ্গন রাজনীতিমুক্ত করার বার্তা, আবার দলের মহাসচিব হিসেবেও ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বার্তা পার্থবাবু।
মালদহে জেলা সভাপতি এদিন বলেন, মহাসচিবের নির্দেশ মেনে এই বহিষ্কার করা হল। শিক্ষাঙ্গনে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে অভিমত তাঁর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তও বলেছিলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে কোনওদিনও নৈরাজ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, আজও হবে না। যে বা যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন দলের তরফে কড়া ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হল।