বনকর্মীদের পাতা ফাঁদে বন্দি বাঘিনী, আপাতত স্থান ঝড়খালির ব্যাঘ্রকেন্দ্রে
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বনকর্মীদের পাতা ফাঁদে ধরা দিল বাঘিনী। মঙ্গলবার রাতে বাঘিনীটি বন্দি হওয়ার পর ঝড়খালির ব্যাঘ্রপর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৪ ডিসেম্বর : অবশেষে হল বাঘবন্দি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বনকর্মীদের পাতা ফাঁদে ধরা দিল বাঘিনী। মঙ্গলবার রাতে বাঘিনীটি বন্দি হওয়ার পর ঝড়খালির ব্যাঘ্রপর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বছর সাতেকের বাঘিনীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আজমলমারির জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সুন্দরবনের আজমলমারি জঙ্গলের পাশের কিশোরীমোহনপুর গ্রাম। ওই গ্রামেই সোমবার রাতে ঢুকে পড়ে পেল্লাই ওই বাঘিনীটি। রাতেই বাঘের অস্তিত্ব টের পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বনকর্মীরাও বুঝতে পারেন লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বাঘটি। সেইমতো মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাঘটিকে ধরার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়।
মঙ্গলবার কিশোরীমোহনপুর গ্রামের মানুষের একপ্রকার ঘরবন্দি হয়েই কেটেছে। বন দফতরের কর্মীরা ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করেছে কখন বাঘটি ধরা পড়ে। গ্রামের তিনদিক জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। ফাঁকা রাখা হয় ঠাকুরাণ নদীর দিকটি। বাঘটি যদি নদী ঝাঁপিয়ে পালিয়ে যায়, সেইজন্যই খোলা রাখা হয়। শেষপর্যন্ত বনকর্মীদের দেওয়া টোপ গিলে ফাঁদে ধরা পড়ে যায় বাঘটি। এখন বাঘটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
বাঘটি ফাঁদে ধরা পড়ায় স্বস্তি গ্রামে। কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারছিলেন না ভয়ে। শিশুদের বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বাঘটি ধরা পড়ায় আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে চলেছে কিশোরীমোহনপুর গ্রাম।