মঙ্গলকোটে একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার, স্ত্রী-মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী গৃহকর্তা!
একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। শুক্রবার সকালে বাবা-মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার হয় একই ঘর থেকে।
বর্ধমান, ২৩ ডিসেম্বর : একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। শুক্রবার সকালে বাবা-মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার হয় একই ঘর থেকে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন বাড়ির কর্তা। মৃতরা হলেন, সুজলবরণ নাগ, মণিমালা নাগ ও সুদর্শনা নাগ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই ঘটনা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, একান্নবর্তী পরিবার সুজলবরণবাবুদের। ছ'ভাই একসঙ্গে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো গতরাতেও স্বাভাবিক ছিল পরিস্থিতিষ সকলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া সেরে শুতে গিয়েছিলেন। তারমধ্যেই যে এমন ঘটনা ঘটে যাবে বুঝতে পারেননি বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা।
এদিন সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় বাড়ির অন্যান্যদের। তখনই ডাকাডাকি শুরু হয়। তারপর দেখা যায়, বিছানায় পড়ে রয়েছে মেয়ে সুদর্শনার দেহ, মেঝেতে মা মণিমালা ও ঝুলন্ত দেহ সুজলবরণ নাগের।
এরপরই খবর দেওয়া হয় মঙ্গলকোট থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। নাগ পরিবার সূত্রেই জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিয়ের ঠিক হয়েছিল সুদর্শনার। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের মধ্যে দঊন্দ্ব থাকতে পারে। সেই সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এই খুন ও আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ।