ওরা দাঙ্গাবাজ, কেউ ওদের দলে যাবেন না, সাবধান করলেন মমতা
ওরা দাঙ্গাবাজা। কেউ ওদের দলে যাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, বাংলার মাটি শক্ত মাটি, এই মাটিতে দাঁত বসানো এত সহজ নয়। দাঁত বসাতে এলে বাঘের দাঁতও ভেঙে যাবে।
কোচবিহার, ২৫ এপ্রিল : ওরা দাঙ্গাবাজ। কেউ ওদের দলে যাবেন না। সাধারণের উদ্দেশ্যে এই সতর্কবাণী করার পরই বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, বাংলার মাটি শক্ত মাটি, এই মাটিতে দাঁত বসানো এত সহজ নয়। দাঁত বসাতে এলে বাঘের দাঁতও ভেঙে যাবে।
কোচবিহারে রাসমেলা ময়দানে সরকারি জনসভার আগে কামতাপুরিদের সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যে এসে ধর্মের তাস ফেলতে চাইছে। কিন্তু বাংলার সংস্কৃতি এত ঠুনকো নয়। এই বাংলার মাটিতে ওরা সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তা করতে দেওয়া যাবে না। আমি হিন্দু, কিন্তু সব ধর্মকে সব জাতির মানুষকে সম্মান করি। আমাদের ধর্ম আমাদের এই শিক্ষাই দেয়। আর ওরা ভাঙতে শেখায়।
এদিন মমত বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, কোচবিহারে বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এখানে অনেক ভাষাভাষির মানুষ আছেন। অনের সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। সমস্ত ভাষাকেই আমরা সম্মান করি। আমার কাছে বাংলা ভাষা যেমন প্রিয়, আপনাদের ভাষাও আমার বড় প্রিয়। বিজেপি-র কয়েকজন উড়ে এসে জুড়ে বসে বাংলার অটুট বন্ধনকে ভেঙে দিতে চাইছে। ভেদাভেদ ঘটাতে চাইছে বাংলার শান্তিপ্রিয় মানুষের মধ্যে। বিজেপি-র এই ভেদাভেদের খেলা রুখতে হবে।
গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কোচবিহার বিমানবন্দরে শুরু হবে বিমান চলাচল। এদিন ফের তিনি বলেন, কোচবিহারে বিমানবন্দর গড়ার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হওয়ার পথে। আগামী জুলাই মাস থেকেই বিমান চলাচল করবে। সেইসঙ্গে তিনি জানান, কোচবিহারের ছিটমহল বাসিন্দাদের বাড়ি করে দেওয়া হবে।
তিস্তা জলবণ্টন প্রসঙ্গেও এদিন ফের মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, বাংলাদেশকে আমরা ভালোবাসি। বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। আমাদের জল বাঁচলে কেন দল দেব না। কিন্তু যে নদীতে জল নেই, সেখান থেকে জল দেব কী করে। তিস্তার জল দিয়ে দিলে শিলিগুড়ির মানুষ জল পাবেন না। আমাকে তো আমার রাজ্যের স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সেই কারণেই বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি।
এরপরই তিনি আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক করার পর ২৭ এপ্রিল মাদারিহাটে জনসভা করবেন তিনি।