গোটা তৃণমূল দলটাই জেলে যাবে, সৃঞ্জয়ের গ্রেফতারির পর কটাক্ষ বিজেপির
সিপিএমের হেভিওয়েট তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি চোর? মুকুল চোর? মদন চোর? কুণাল চোর? টুম্পাই (সৃঞ্জয় বসু) চোর? আর তোমরা সব সাধু? এখন দেখা যাচ্ছে, যে ক'জনের কথা তিনি বলেছিলেন, তাদের মধ্যে দু'জনই জেলে ঢুকে গেল। বাকি রইল তিনজন। সবাই এক জায়গাতেই যাবে।"
আরও
পড়ুন:
সারদা-কাণ্ডে
গ্রেফতার
তৃণমূল
কংগ্রেস
সাংসদ
সৃঞ্জয়
বসু
আরও
পড়ুন:
চোরের
হয়ে
দালালি
করছে
সিবিআই,
সারদা
নিয়ে
ফের
ক্ষিপ্ত
মমতা
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, "সৃঞ্জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তা ছাড়া, উনি একজন বড় নেতা। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, সারদায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যুক্ত। দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি আমাদের ভাবতে হবে, গরিব মানুষের কথা। যে গরিবদের টাকা লুঠপাট হয়েছে, তাদের সুবিচার দেবেন নরেন্দ্র মোদী। আমাদের দর্শন হল, নিজেরা গরিব মানুষকে লুঠব না, কাউকে লুঠতেও দেব না।"
বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, "গোটা তৃণমূল দলটাই জেলে যাবে। দলটা যে কে চালাবে! যারা দোষী, সবাইকে শাস্তি পেতেই হবে। যাঁদের টাকা খোয়া গেছে, তারা বিচার পাবেন। এটা সবে শুরু।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, "খুব আকস্মিক নয়। দেরিতে হলেও উনি গ্রেফতার হয়েছেন, এটা ভালো খবর। তৃণমূলের নেত্রীর আলালের ঘরের দুলালরা একের পর এক জেলে যাচ্ছে। কেউ ভাবছে হাসপাতালে গিয়ে বাঁচব। কিন্তু কেউ বাঁচবে না। লজ্জা থাকলে এক্ষুণি পদ ছাড়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।"
রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম, "তৃণমূলের ডাক সবার পড়বে। পড়াই উচিত। মাঝখানে সিবিআই তদন্তের গতি শ্লথ করেছিল। তখন আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। যাই হোক, এখন মনে হচ্ছে, ঠিক পথে তদন্ত এগোচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত টাকা ফেরত দেওয়াই মূল কাজ। গরিব মানুষের লুঠ হওয়া টাকা উদ্ধার করতে হবে।"