ঝাড়খণ্ডের জলে পরিপুষ্ট ময়ুরাক্ষী ফুঁসছে, ফের দক্ষিণবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি
দিন ১৫ আগে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে যে বন্যা হয়, তা শুরু হয় বীরভূম জেলাকে দিয়ে। তবু বন্যা কবলিত বলে ঘোষণা করা হয়নি এই জেলাকে। ফের বন্যার আশঙ্কা জেলায়।
দু-দিনের অবিরাম বৃষ্টি ভাসিয়ে ছেড়েছে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাকে। এবার বন্যার ভ্রুকুটি দক্ষিণবঙ্গেও। ফের বীরভূম ভাসতে পারে অতিবৃষ্টির জেরে। ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি চলছে গত তিনদিন ধরে। ফলে জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। সেই জলেই পরিপুষ্ট মযূরাক্ষী ফের ভাসিয়ে দিতে পারে বীরভূমকে।
[আরও পড়ুন:দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে, জেনে নিন উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া ]
আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী পাঁচদিন বাংলার আকাশ থেকে বিদায় নিচ্ছে না আশঙ্কার মেঘ। তরাই-ডুয়ার্সে ভারী বৃষ্টি চলবে। ফলে অতিবর্ষণের জেরে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গেও। ফলে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বন্যার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন:অসম ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী]
তার উপর ঝাড়খণ্ড থেকে জল ধেয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই ম্যাসেঞ্জার ও তিলপাড়া জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাসেঞ্জার জলাধার থেকে এদিন জল ছাড়া হয়েছে ১০ হাজার ৩৬৪ কিউসেক। আর তিলপাড়া থেকে ছাড়া হয়েছে ৯৮২৯ কিউসেক জল। এই জলের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ফলে ফুঁসে উঠতে পারে মযুরাক্ষী নদী। তারই জেরে ফের বীরভূম চেল যেতে পারে জলের তলায়।
দিন ১৫ আগে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির জেরে যে বন্যা হয়, তাও শুরু হয় বীরভূম জেলাকে দিয়ে। যদিও বীরভূম জেলাকে বন্যা কবলিত বলে ঘোষণা করা হয়নি রাজ্যের পক্ষ থেকে। তবু বীরভূমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যে ফের বানভাসি অবস্থা হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।