বাংলাদেশেই ছাপানো হচ্ছে ভারতীয় নতুন ২০০০ টাকার জালনোট! জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
ভারতে জাল নোট বিস্তারে এতদিন পাকিস্তানকেই টার্গেট করে এসেছে ভারত। কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশই যে জালনোট তৈরির আতুঁড়ঘর হয়ে উঠেছে, তা জেনে চিন্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি : ভারতে জাল নোট বিস্তারে এতদিন পাকিস্তানকেই টার্গেট করে এসেছে ভারত। কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশই যে জালনোট তৈরির আতুঁড়ঘর হয়ে উঠেছে, তা জেনে চিন্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ছড়িয়েছে নতুন ২০০০ টাকার জাল নোট। হুবহু নকল এই জালনোটের রমরমায় প্রশ্নের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের পরিকল্পনা।[পাক মদতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জাল নোটের রমরমা: খালি চোখে চেনা দায় ২ হাজারের জাল নোট]
প্রশ্ন উঠে পড়েছে, কালো টাকা তো ফিরলই না, উপরন্তু নোট বাতিলের তিন মাসের মধ্যে নতুন টাকার জাল নোটে ছেয়েছে বাংলা। তারপর চিন্তা, সেই জাল নোট ছাপানো হচ্ছে বাংলাদেশে। ফলে খুব সহজে এপার বাংলায় ছড়িয়ে পড়ছে জাল নোটের কারবার। বিএসএফ ও এনআইএ নজরদারি বাড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই কারবারে রাশ টানা যাচ্ছে না কিছুতেই।
গতকাল গভীর রাতে মালদেহর কালিয়াচক থানার চর অনন্তপুর সীমান্তে বেড়ার ধার থেকে দু'লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়। সব জাল নোটই দু'হাজারের নতুন নোটের। সম্প্রতি বৈষ্ণবনগর থানা এলাকা থেকেও নতুন দু'হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। এবার রাত পাহারায় থাকা জওয়ানরা লক্ষ্য করেন ওপার থেকে প্যাকেট ছুড়ে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ওই প্যাকেট থেকে উদ্ধার হয় ১০০টি জাল ২০০০ টাকার নোট।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪০টি নতুন দু'হাজার টাকার নোট। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আজিজুর রহমান নামে এক জাল নোট কারবারিকে। তাকে দফায় দফায় জেরা করে বাংলাদেশি যোগের কথা উঠে এসেছে। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানতে পেরেছে বাংলাদেশের স্ট্যাম্প পেপার ব্যবহার করে ওই নোট ছাপানো হয়েছে।
এই তিনমাসের মধ্যে চার দফায় ধরা পড়েছে জালনোট। সম্প্রতি নতুন টাকার জাল নোট ধরা পড়ে মালদহে। জিয়ারুল শেখ নামে এক যুবকের কাছে মেলে জাল দু'হাজার টাকার একটি নোট। সেই নোট পরীক্ষা করেই দেখা যায় বাংলাদেশ স্ট্যাম্প পেপারে ছাপানো হয়েছে নোটটি। তারপরই মুর্শিদাবাদে ধরা পড়ে আজিজুর রহমান। তার কাছে ৪০টি দু'হাজার টাকার নোট মেলে।