আদিগঙ্গা নাকি ভাসমান ডাস্টবিন! পুনরুজ্জীবনের দাওয়াই পরিবেশ আদালতের
এখনও আদিগঙ্গার নীচে দিয়ে স্রোত বইছে। ফলে ওপরের মজে যাওয়া অংশকে সরিয়ে ফেললে নদীর পুনরুজ্জীবন সম্ভব। আদিগঙ্গার এই ভাসমান ডাস্টবিনে রূপান্তরকে জাতীয় সমস্যা বলতেও দ্বিধা করেননি বিচারক।
কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর : আদিগঙ্গাকে ভাসমান ডাস্টবিন বলে ব্যাখ্যা করলেন পরিবেশ আদালতের বিচারপতি। মঙ্গলবার এক শুনানিতে পরিবেশ আদালত নদীর পুনরুজ্জীবন নিয়ে তিনটি দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞর মত নিয়েই পরিবেশ আদালত জানায়, এখনও আদিগঙ্গার নীচে দিয়ে স্রোত বইছে। ফলে ওপরের মজে যাওয়া অংশকে সরিয়ে ফেললে নদীর পুনরুজ্জীবন সম্ভব। আদিগঙ্গার এই ভাসমান ডাস্টবিনে রূপান্তরকে জাতীয় সমস্যা বলতেও দ্বিধা করেননি বিচারক।
সেই কারণেই এই নদীকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল পরিবেশ আদালত। নাম তার আদিগঙ্গা। তাহলে কেন ঐতিহ্যের সেই নদীকে ডাস্টিবন হিসেবে গণ্য করা হবে? কেন শহরের বিরাট অংশের ময়লা বুকে বহমান হবে এই নদী?
তাই সরাসরি কেন্দ্রের দফতরকেই নির্দেশ পাঠিয়েছে আদালত। ন্যাশনাল গঙ্গা রিভার বেসিন অথোরিটি, ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট রিভার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গঙ্গা রিজুভেনেশন ও এনভায়রনমেন্ট ফরেস্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে আদিগঙ্গার পুনরুজ্জীবনে তাদের পরিকল্পনা কী? কীভাবে সম্ভব আদিগঙ্গাকে পুনরুজ্জীবন দেওয়া?
পরিবেশ আদালতে আদিগঙ্গার বর্তমান পরিস্থিতি ছবি পেশ করে তুলে ধরেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। সেই ছবি দেখে রীতিমতো বিস্মিত পরিবেশ আদালতের বিচারক। তারপরই তিনি নির্দেশ জারি করেন, পুরসভাকে নিয়মিত আদিগঙ্গার দুই দিক নিয়মিত সাফাই করতে হবে। নোংরা ফেললে জরিমানার নিদানও দেওয়া হয় আদালতের তরফে।