ট্যাঙ্কার উল্টে গেল গাড়ির উপর, চাপা পড়ে মৃত্যু শিশু-মহিলাসহ ৭ জনের
পিচ ভর্তি ট্যাঙ্কার উল্টে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন শিশু-সহ সাত জনের। বুধবার সকাল ন’টা নাগাদ দু’নম্বর জাতীয় সড়কে বর্ধমানের রথতলায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
বর্ধমান, ২২ মার্চ : পিচ ভর্তি ট্যাঙ্কার উল্টে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন শিশু-সহ সাত জনের। বুধবার সকাল ন'টা নাগাদ দু'নম্বর জাতীয় সড়কে বর্ধমানের রথতলায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পিচ বোঝাই ট্যাঙ্কার গাড়ির উপর উল্টে যাওয়ার পর দেড়ঘণ্টারও বেশি সময় ট্যাঙ্কারের নিচে আটকে থাকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির আরোহীরা। ক্রেন এসে ট্যাঙ্কারটি সরালেও কাউকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি। শেষ হয়ে যায় পুরো একটা পরিবার।
কলকাতা থেকে বিহারের ভোজপুরে যাচ্ছিলেন আরপিএফের অফিসার রাজন কুমার। তাঁর বাবা এসএন সিংহ সম্প্রতি একটি গাড়ি কিনেছিলেন। সেই গাড়িতেই ভোজপুরে দেশের বাড়ি যাচ্ছিলেন সপরিবারে। বাড়ি ফেরা আর হল না, বর্ধমানের রথলায় পিচ ভর্তি ট্যাঙ্কার উল্টে গাড়ির মধ্যে আটকেই নিঃশেষ হয়ে গেল পরিবারের সকল সদস্য।
এদিন দু'নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে চলার সময় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় ট্যাঙ্কারটি। এক লেন থেকে অন্য লেন উল্টে যায় গাড়িটি। সেইসময় উল্টোদিকের লেন দিয়ে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল রাজন কুমারের গাড়িটি। সেই গাড়ির উপরই উল্টে পড়ে ট্যাঙ্কারটি।
গাড়িটির ভিতরে সাতজন আরোহী ছিলেন। ট্যাঙ্কারের চাপে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে পিষ্ট হয়ে যায় প্রত্যেকেই। স্থানীয়রা খবর দেওয়ার পর ট্যাঙ্কার আসতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগে যায়। যখন ট্যাঙ্কারটি সরানো হয়, তখন কারও দেহেই প্রাণ নেই। উদ্ধারকারীরা জানান, একটি শিশু হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করলেও, তাকে বাঁচানো যায়নি। গরম পিচ পড়ে তারও মৃত্যু হয়।
প্রত্যেককেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হয়। এদিন দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ছুটে এলেও, তাঁদের উদ্ধারকার্যে হাত লাগানোর মতো উপায় ছিল না। ট্যাঙ্কারের তলায় যাঁরা চাপা পড়েছিলেন, তাঁদের হাওয়া করে, জল দিয়ে জীবনরক্ষার চেষ্টা করেন বাসিন্দারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।