যাঁদের নির্দেশ কাজ করেছি, তাঁদেরও গ্রেফতার করতে হবে, শিশুপাচারকাণ্ডে বিস্ফোরক সস্মিতা
‘সরকারি নির্দেশ মেনে কাজ করেছি। যদি সেই কাজে কোনও ভুল হয়ে থাকে, তবে তার দায় সম্পূর্ণ আমার উপর বর্তায় না। যাঁরা নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই কাজ করতে, তাঁদেরও ধরা হোক।’
জলপাইগুড়ি, ৭ মার্চ : শিশুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে ঘুরিয়ে সরকারের দিকে আঙুল তুললেন জলপাইগুড়ির শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষ। জলপাইগুড়ি আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, 'সরকারি নির্দেশ মেনে কাজ করেছি। যদি সেই কাজে কোনও ভুল হয়ে থাকে, তবে তার দায় সম্পূর্ণ আমার উপর বর্তায় না। যাঁরা নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই কাজ করতে, তাঁদেরও ধরা হোক।'
সরাসরি জেলাশাসকের দিকে আঙুল তুলতেও ছাড়লেন সাস্মিতা। বললেন, এই ঘটনায় অবশ্যই জেলাশাসকের দায় রয়েছে। তবে কোন জেলাশাসক, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। সাস্মিতা ঘোষকে এদিন জলপাইগুড়ি আদালেত পেশ করা হয়েছিল। বিচারক তাঁকে সাতদিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তকারী অফিসাররা তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করবে। এই ঘটনার আরও কার কার যোগসাজশ রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাবে সিআইডি।
উল্লেখ্য, শিশু পাচারকাণ্ডে সোমবার গ্রেফতার করা হয় জলপাইগুড়ির শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সাস্মিতা ঘোষকে। এর আগে তাঁর স্বামী দার্জিলিংয়ের শিশু সুরক্ষা আধিকারিক মৃণাল ঘোষ ও শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্য দেবাশিস চন্দ্রকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাস্মিতার শোকজের উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় রবিবার তাঁকে সাসপেন্ড করেছিলেন জেলাশাসক রচনা ভগৎ।
সিআইডি তাঁকে গ্রেফতার করার পরই সরকারি আধিকারিকদের তিনি নিশানা করলেন। তাঁকে কিছু কিছু কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন সাস্মিতা ঘোষ।