সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ অবৈধ, ১২ সপ্তাহে ফেরত দিতে হবে জমি, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
নয়াদিল্লি, ৩১ অগাস্ট: ২০০৬ সালে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ছিল জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। যে সব কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তাদেরকে জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে, ক্ষতিপূরণস্বরূপ যে টাকা রাজ্যসরকার কৃষকদের দিয়েছিল, সে টাকা ফেরত দিতে হবে না কৃষকদের।
সিঙ্গুরের রায়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন
সিঙ্গুর নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের, আবেগে ভাসল টুইটার
আজ মহাশ্বেতাদিকে খুব মিস করছি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সিঙ্গুরে হারানো জমি ফিরে পেয়ে উৎসবে সামিল সাধারন মানুষ
এদিন সুপ্রিমকোর্ট তার রায়ে আরও জানিয়েছে সিঙ্গুরের যে সমস্ত কৃষক আগে ক্ষতিপূরণ নেননি রাজ্য সরকার চাইলে তাদের জন্য আলাদা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে পারবেন। বামেদের পক্ষ থেকে সু্প্রিমকোর্টের আজকের রায়কে স্বাগত জানানো হলেও জমি অধিগ্রহণ যে অবৈধ ছিল সে প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য এখনও সামনে আসেনি।
সিঙ্গুর জমি অধিগ্রহণ মামলায় আজ রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট
নয়াদিল্লি, ৩১ অগাস্ট : ২০০৬ সালে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ বৈধ ছিল কিনা আজ তার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি গোপাল গৌড়া এবং অরুণ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মাললার শুনানি হবে আজ।
আজকের রায়ের পরেই জানা যাবে ২০০৬ সালে তৎকালীন বাম সরকার টাটা গোষ্ঠীর জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করেছিল তা বৈধ ছিল কি না। অনিচ্ছুক কৃষক এবং সিঙ্গুরের কৃষি জমি রক্ষা কমিটি অবশ্য বেশ আশাবাদী। তাঁরা মনে করছেন রায় এজকে তাদের পক্ষেই যাবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু সাংবাদিকদের জানান, " সিঙ্গুর কোনও ইগোর বিষয় নয়। চেয়েছিলাম সিঙ্গুরের কৃষকরা তাদের অধিকার ফিরে পাক "। উল্লেখ্য ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নতুন আইন তৈরি করে টাটাদের অধিগৃহীত জমি হস্তান্তরের চেষ্টা করেছিল । কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলায় ধাক্কা খাওয়ার পরে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে
বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিঙ্গুরের জমি সেখানকার কৃষকদের ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার জন্য 'সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন ও উন্নয়ন আইন ২০১১' তৈরি করেছিল সরকার। সেই আইন বৈধ ছিল কিনা তা নিয়েও টাটা গোষ্ঠীর করা মামলার শুনানি এখনও বাকি আছে। তবে আজকের রায়ের উপরে নির্ভর করছে সিঙ্গুরের জমিদাতাদের ভবিষ্যত।