জলের তলায় চলে যেতে পারে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা, রিপোর্টে জানাল বিশ্বব্যাঙ্ক
কলকাতা, ৩১ মার্চ : সুন্দরবন নিয়ে ফের একবার আশঙ্কা প্রকাশ পেল বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ওখানকার জলের স্তর আগামিদিনে অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে বলে নিজেদের রিপোর্টে জানাল বিশ্বব্যাঙ্ক। এর ফলে এর বিস্তৃত এলাকা জলের তলায় চলে যেতে পারে।
পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্যের জলস্তর বৃদ্ধি নিয়ে বহু আগে থেকেই হুঁশিয়ার করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। তবে আধুনিক জীবনযাপনের সঙ্গে পাল্লা দিতে বেড়ে চলা বৃক্ষনিধনের ফলে কোনওভাবেই এতে রাশ টানা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই দুটি দ্বীপ জলের তলায় চলে গিয়েছে।
"বিল্ডিং রেসিলিয়েন্স ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অব দ্য সুন্দরবন" শীর্ষক বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ উপকূল এলাকায় সমুদ্রের জলস্তর হু-হু করে বাড়ছে। ফলে আগামিদিনে জলস্তর ৩-৮ মিলিমিটার বেড়ে যেতে পারে। পরিকল্পনাহীনভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করাকেই এক্ষেত্রে মূল কারণ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০০৪ সালে হওয়া সুনামির ফলেও ভূমিস্তর কিছুটা নেমে গিয়েছে এবং অন্যদিকে জলের স্তর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আগামিদিনে সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকা জলের তলায় চলে যাবে বলে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারত ও বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে সুন্দরবনের বিস্তৃত এলাকা ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশকেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি সুন্দরবন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছাড়াও রাজ্যের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা সহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। দু'দেশের তরফেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।
তারপরই প্রকাশিত এই রিপোর্টেও দু'দেশের সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে।