মহিষাদলে ইভটিজারদের গাড়িতে পিষ্ট ছাত্রী, খুনের মামলা রুজুর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মহিষাদলে নৃশংসভাবে তিন ইভটিজার পিষে মারল এক ছাত্রীকে। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে মহিষাদল বাসস্ট্যান্ডের অদূরেই। ইতিমধ্যেই দুই ইভটিজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মহিষাদল, ২১ অক্টোবর : রাজ্যে নারী নিরাপত্তা শূন্যে ঠেকেছে। তারই জেরে এক নির্মমতার সাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল। নৃশংসভাবে তিন ইভটিজার পিষে মারল এক ছাত্রীকে। অপর দুই ছাত্রীও গুরুতর জখম। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে মহিষাদল বাসস্ট্যান্ডের অদূরেই। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি ওই তিন ইভটিজারদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুনের মামলা রুজু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই দুই ইভটিজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। শুক্রবার পুনর্নির্মাণ হয় এই ঘটনার। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছে ছাত্রীদের পরিবার। মহিষাদল কলেজের একাদশ শ্রেণির তিন ছাত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। নন্দকুমার থানার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনজনেই ট্রেকার থেকে নেমে হেঁটে গাড়ুঘাটার দিকে যাচ্ছিল।
সুইফট ডিজায়ার গাড়িতে থাকা তিন যুবক ক্রমাগত উত্যক্ত করতে শুরু করে তাদের। এক দিকে তিন ছাত্রী, অন্যদিকে গাড়িতে থাকা তিন বেপরোয়া যুবক। প্রায় হাফ কিলোমিটার রাস্তা ছাত্রীদের গাড়ি নিয়ে তাড়া করে ইভটিজাররা। ইভটিজিংয়ের মাত্রা এমন জায়গায় যায় যে, গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক ছাত্রীকে পিষে দেয়। তার মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। অপর দু'জনের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যায় নয়ানজুলিতে।
দুই ইভটিজারকে ধরে ফেলে স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের নাম সুব্রত মাইতি এবং দিব্যেন্দু দাস। পলাতক ইভটিজারের নাম মিলন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তিনজনের বাড়িই হলদিয়া। ধৃতদের কারোরই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। ধৃতদের মধ্যে একজন ব্যবসায়ীর গাড়ি চালাত বলে জানা গিয়েছে। মালিকের গাড়ি নিয়েই তারা বেরিয়েছিল 'জয়-রাইড'-এ।