মোর্চার মোকাবিলায় প্রশাসনিক ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচিও রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী
লক্ষ্য মোর্চাকে আরও কোণঠাসা করা। উন্নয়ন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাহাড় সামলাতে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি মমতার। নজর কলকাতা থেকেই।
সোমবার থেকে মোর্চার ডাকা অনির্দিষ্টকালের বনধ মোকাবিলা করতে যেমন প্রশাসনিক কাজকর্ম জোরদার করা হয়েছে, তেমনই রাজনৈতিক কর্মসূচি সাজিয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতা রওনা হওয়ার আগেই প্রশাসনিক কাজকর্ম ঢেলে সাজানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবেও মোর্চাকে মোকাবিলা করার ঘুটি সাজিয়ে ফেলেছেন তিনি।
হিংসা ছড়ানোর দায় প্রমাণিত হলে, কাউকেই ছাড়তে রাজি নয় সরকার। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সমতলের বিভিন্ন জায়গার পর্যটকদের পাহাড়ে আনতে কিংবা পাহাড় থেকে নিচে নামানোর বন্দোবস্তও করেছে সরকার। এরই সঙ্গে ভানুভবনের দখল নিয়ে জিটিএ-র শেষ তিন বছরের অডিট দুসপ্তাহের মধ্যে শেষ অতিরিক্ত আধিকারিকদের পাহাড়ে পাঠানো হচ্ছে। দোসরা অগাস্টের মধ্যে পাহাড়ে জিটিএ-র নতুন বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ড গঠনের আগেই হিসেব প্রকাশ্যে আনতে চায় রাজ্য সরকার। কোনও গরমিল পেলে এফআইআর করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত জিটিএ-কে রাজ্যের তরফে চোদ্দোশো কোটি এবং কেন্দ্রের তরফে ছশো কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও কোন প্রকল্পের কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা জানাতে, ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়নি জিটিএ-র তরফে।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুরভোটের সময় থেকেই দার্জিলিং-এ তৃণমূলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে। তিনি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিকভাবে বনধের মোকাবিলা করা হবে। মিরিকের দায়িত্বে রয়েছেন সৌরভ চক্রবর্তী। কার্শিয়াং-এর দায়িত্বে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সবার ওপরে গোটা পাহাড়ের দায়িত্বে রয়েছেন যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।