শ্রীনু হত্যাকাণ্ডে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে উঠে আসছে বাসব রামবাবুর নাম!
শ্রীনু হত্যাকাণ্ডে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে বাসব রামবাবুর নাম। অভিযোগ, তিনিই শ্রীনুর শত্রুদের এক জায়গায় এনেছিলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ জানুয়ারি : শ্রীনু হত্যাকাণ্ডে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে বাসব রামবাবুর নাম। অভিযোগ, তিনিই শ্রীনুর শত্রুদের এক জায়গায় এনেছিলেন। প্রতিশোধ স্পৃহায় আড়ালে থেকে রামবাবুই শ্রীনুকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেন। খড়গপুরের সাম্রাজ্য ফিরে পেতে এই চাল রামবাবু ছাড়া কারও হতে পারে না বলেই মনে করছেন তদন্তাকারী অফিসাররা।['ডনে'র হত্যাকাণ্ডে বড় মাথার হদিশ পেল পুলিশ, নজরে ভিনরাজ্যের ২ সুপারি কিলার]
রামবাবুর হাত থেকে খড়গপুরের সাম্রাজ্য একদিন কেড় নিয়েছিলেন শ্রীনু নাইডু। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই শ্রীনু হয়ে উঠেছিলেন খড়গপুরের বেতাজ বাদশা। তবে এই জার্নিতে তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, একে একে তাঁরা অনেকেই সরে গিয়েছেন। ফলে এক ক'দিনেই শ্রীনুর অনেক শত্রু তৈরি হয়ে যায়। রামবাবু জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি চেষ্টা শুরু করেন শ্রীনুর শথ্রুদের এক জায়গায় আনার।[শ্রীনু হত্যাকাণ্ডের রিমোট কন্ট্রোল ছিল তাঁরই পুরনো সহযোগী শঙ্কর ওঁরাওয়ের হাতে]
এর আগে বার পাঁচেক শ্রীনুকে হত্যার ছক কষা হয়েছিল। ছক কষেছিল শ্রীনু দলছুট সাঙ্গপাঙ্গরা। এবার তাদের এক জাগা. এনে বড় প্ল্যান করা হয়। আর এই কাজটাই করেন রামবাবু। এমনটাই আপাতভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে একইসঙ্গে অন্য কোনও মাথার জড়িত থাকার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
শ্রীনু খুন হওয়ার পর রামবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের তির ছোড়েন শ্রীনুর মা। তাঁর অভিযোগ ছিল, এ সবের মধ্য রামবাবু রয়েছেন। আর পুলিশ এখন পর্যন্ত আট জনকে গ্রেফতারের পর কিছু রামবাবু লিঙ্কও হাতে পায়। যেমন পুলিশের হাতে আটক সঞ্জয় কুমার। জামশেদপুরের মোস্ট ওয়ান্ডেট এক ক্রিমানাল। এই সঞ্জয় কুমার শ্রীনু হত্যাকাণ্ডে জড়িত। আগে এই সঞ্জয় কুমার রামবাবুর সমস্ত কাজ করতেন। এখনও যে তা করছে না, তা উড়িয়ে দেওয়া যায় কীভাবে?
তারপর জন ফ্রান্সিসকে গ্রেফতার করার পর অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তার বাড়িতে বসেই পুরো ষড়যন্ত্র ছকা হয়। ফলে ফ্রান্সিস এখন শ্রীনু হত্যা-তদন্তে পুলিশের পয়লা নম্বর অস্ত্র। তাকে জেরা করে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নাম পাওয়া যাবে।