ছুরি হাতে ছেলের তাণ্ডব, মৃত্যু বাবার, গুরুতর জখম মা,ভাই,ভাগ্নে
হাওড়া, ২০ সেপ্টেম্বর : উন্মত্ত ছেলের তাণ্ডবে মৃত্যু হল বাবার। ছুরিকাহত হলেন পরিবারের আরও তিনজন। তাঁরা তিনজনই হাওড়া হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে হাওড়ার নাজিরগঞ্জ থানা এলাকার হাঁসখালিপোল নতুনপাড়ায়। মৃতের নাম গণেশ রায়। অভিযুক্ত লক্ষ্মীকান্ত রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পারিবারিক বিবাদের কারণেই এই খুন।
বেশ কিছুদিন ধরে বড়ছেলের সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ চলছিল গণেশবাবুর। একই বাড়িতেই আলাদা থাকত বড় ছেলে লক্ষ্মীকান্ত রায়। এদিন ঘটনার সূত্রপাত গ্রিলের তালা খোলাকে কেন্দ্র করে। সকালে লক্ষ্মীকান্তের স্ত্রী জল আনতে যায়। গ্রিলের বাইরেই জলের কল। কিন্তু তখনও গ্রিল ছিল তালাবন্ধ। তাতেই মাথায় আগুন চড়ে যায় লক্ষ্মীকান্তের। হাতে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় বাবা গণেশ রায় ও মা তিলোত্তমাদেবীর উপর।
বাবা-মাকে বাঁচাতে ছুটে যান ছোটভাই শ্রীকান্তও। তিনিও আক্রান্ত হন উন্মত্ত দাদার হাতে। এমনকী এই আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি ছোট্ট ভাগ্নে। ভাগ্নে রঞ্জিত মণ্ডলও মামার ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়।সাতসকালেই গণেশবাবুর বাড়িতে আর্ত চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। দেখেন, সারা ঘরে রক্ত ছিটিয়ে রয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় গণেশবাবুর পরিবারের চারজন মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন।
লক্ষ্মীকান্তের হাতে রক্তমাখা ছুরি। প্রতিবেশীরা তাঁকে আটকে রেখে নাজিরগঞ্জ থানায় খবর দেন। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে গণেশবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ধৃত লক্ষ্মীকান্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিনই লক্ষ্মীকান্তকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে তাকে।