তুষারপাত চলছেই, হিমাচলে আটকে পড়া পর্যটকরা রবিবার পর্যন্ত হোটেলবন্দিই
দুর্যোগ কাটেনি। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে তুষারপাত তো চলছেই, সেইসঙ্গে সমতলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সমস্ত পথ বন্ধ। ফলে ছন্নছাড়া হয়ে হোটেল বন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে হিমাচলে আটকে পড়া ৭০ বাঙালি পর্যটককে।
কলকাতা, ৮ এপ্রিল : দুর্যোগ কাটেনি। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে তুষারপাত তো চলছেই, সেইসঙ্গে সমতলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সমস্ত পথ বন্ধ। ফলে ছন্নছাড়া হয়ে হোটেল বন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে হিমাচলে আটকে পড়া ৭০ বাঙালি পর্যটককে। রবিবারের আগে হিমাচলের হোটেল থেকে তাঁদের নামার কোনও সম্ভাবনা নেই। হিমাচল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং রেসিডেন্ট কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে পর্যটকদের নিরাপদে ফেরার ব্যবস্থা করেছেন। আটকে পড়া পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি নিজে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থার ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বিড়া, গুমা ও কোচবিহারের যে সমস্ত পরিবার উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন, তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন গৌতম দেব।
বারাসতের কলপুকুরের ন'টি পরিবারের ২৮ জন হিমাচলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ২৯ মার্চ। ৪ এপ্রিল হিমাচলে পৌঁছনোর পর থেকেই তাঁরা ঝড়ঝঞ্ঝা-তুষারপাতের মুখে পড়েন। কোচবিহারের ডাক্তার ছাত্র তিন বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন হিমাচলে। তাঁরা ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যেই গিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্যোগ তাঁদের ট্রেকিংয়ে বাধ সাধে। বারাসতের জয়ন্ত শিকদার, ত্রিকোণ পার্কের মনোজ চক্রবর্তী, কোচবিহারের ভাস্কর সরকাররা এখন ফিরে আসার অপেক্ষা দিন গুণছেন।
জল, খাবার নেই, নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে মোবাইলও বন্ধ। বন্ধ যোগাযোগের সমস্ত মাধ্যম। শুধু হোটেল মালিকের পক্ষ থেকে পর্যকদের জানানো হয়েছে, রবিবারের আগে কোনওমতেই হোটেল থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। সেই আশাতেই প্রহর গুণছেন পর্যটকরা।