নোবেল চুরির তদন্তে আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে পেল সিট, ধৃত প্রদীপ মূল ষড়যন্ত্রী!
নোবেল চুরির তদন্তে আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে পেল সিট। বিশ্বভারতী থেকে পদক চুরির ঘটনায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশের স্বর্ণব্যবসায়ী মহম্মদ হোসেন ও জার্মানির এক নাগরিকেরও নাম।
বীরভূম, ২৫ নভেম্বর : নোবেল চুরির তদন্তে আন্তর্জাতিক যোগসূত্র খুঁজে পেল সিট। বিশ্বভারতী থেকে পদক চুরির ঘটনায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশের স্বর্ণব্যবসায়ী মহম্মদ হোসেন ও জার্মানির এক নাগরিকেরও নাম। ইউরোপের এক পাচারকারীও গোটা চুরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ধৃত প্রদীপ বাউড়িকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছে বলে দাবি সিআইডি-র।
১২ বছর আগে নোবেল চুরির ঘটনা ঘটে। তারপর কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত চালিয়েও কোনও অগ্রগতি ঘটাতে পারেনি নোবেল তদন্তের। রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) এই প্রথম একজনকে গ্রেফতার করেত সমর্থ হয়। গত ১২ নভেম্বর বাউল প্রদীপ বাউড়িকে বীরভূমের মলডাঙা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে সিট। তারপর দফায় দফায় তাকে জেরা করা হয়। তাকে জেরা করেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।
তদন্তকারীরা মনে করছেন সরাসরি প্রদীপ বাউড়ি চুরির ঘটনা জড়িত না থাকলেও, পুরো ঘটনাটি তাঁর জ্ঞাতসারেই ঘটেছিল। সিট কর্তারা নিশ্চিত নোবেল চুরির ষড়যন্ত্র প্রদীপ বাউড়ির সামনেই হয়েছে। অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া ও পালিয়ে যেতেও সাহায্য করা সবই করেছিল এই প্রদীপ। প্রদী বাউড়ি আদতে একজন বাউল। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান ছিলেন। তার পরিবারের দাবি, প্রদীপকে ফাঁসানো হচ্ছে। প্রদীপ কোনওভাবেই নোবেল চুরির সঙ্গে যুক্ত নয়।
উল্লেখ্য,
সিবিআইও
প্রদীপকে
জেরা
করেছিল।
আবারও
সেই
প্রদীপকে
গ্রেফতার
করে
জিজ্ঞাসাবাদ
চালাল
সিট।
জেরা
করেই
নিশ্চিত
হল
নোবেল
চুরির
ষড়যন্ত্র
প্রদীপ
বাউড়ির
সামনেই
হয়েছে।
তার
নারকো
অ্যানালিসিস
করার
অনুমতি
চেয়েছে
সিট।
আদালত
নারকো
অ্যানালিসিসের
অনুমতি
ইতিমধ্যেই
দিয়েও
দিয়েছে।
গুজরাতে
তার
বাউড়ির
নারকো
অ্যানালিসিস
করা
হবে
বলে
স্থির
হয়েছে।
সিটের
দাবি,
খুব
শীঘ্রই
পুরো
ঘটনা
সামনে
চলে
আসবে।
বাংলাদেশ
ও
জার্মনির
সন্দেহভাজনের
খোঁজও
চালনো
হচ্ছে।