পৃথক জেলা হোক শিলিগুড়ি : কংগ্রেস ডাকল কনভেনশন, বিজেপির সই সংগ্রহ
শিলিগুড়ি পৃথক জেলা হোক। শুধু দাবিতেই ক্ষান্ত নয় কংগ্রেস, পৃথক জেলার দাবিতে আগামী ৭ মার্চ কনভেনশনের ডাকও দেওয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ি, ২৩ ফেব্রুয়ারি : ২১ তম জেলা হিসেবে কালিম্পংয়ের যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই পৃথক জেলার দাবি প্রবল হয়ে উঠেছে শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির মেয়র প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এই দাবির উত্থাপন করেছিলেন নতুন করে। এবার কংগ্রেস সরব হল- শিলিগুড়ি পৃথক জেলা হোক। শুধু দাবিতেই ক্ষান্ত নয় কংগ্রেস, পৃথক জেলার দাবিতে আগামী ৭ মার্চ কনভেনশনের ডাকও দেওয়া হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে এই আন্দোলন চলবে বলে দাবি জেলা কংগ্রেসের।[শিলিগুড়ি জেলার দাবি আরও জোরালো, রাজনীতির স্বার্থেই বিভাজন, কটাক্ষ অশোকের]
বিজেপিও আসরে নেমে পড়ছে শিলিগুড়িকে পৃথক জেলা ঘোষণার দাবিতে। শুরু হয়ে গিয়েছে সই সংগ্রহ। বৃহস্পতিবার থেকে রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে এই সই সংগ্রহ শুরু হয়েছে। রাজ্যপালের কাছে দরবার করা হবে। তুলে দেওয়া হবে সাধারণের সই সম্বলিত স্মারকলিপি। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। প্রথম সিপিএম তথা বামফ্রন্ট, এখন আবার কংগ্রেস ও বিজেপি শিলিগুড়িকে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণার দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে।
শুধু বিরোধী দলগুলিই নয়, সাধারণ মানুষও এই দাবির সঙ্গে সহমত। বিশেষ করে সমতলের বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনিক কাজে প্রতিনিয়ত পাহাড়ে ওঠা অর্থাৎ দার্জিলিং যাওয়া সমস্যার। পৃথক জেলা হলে সদর হবে শিলিগুড়ি। সেই সমস্যা কমবে। তাই প্রশাসনিক সুবিধার্থে শিলিগুড়ির জেলা হওয়া যুক্তিগ্রাহ্য।
সে অর্থে কালিম্পং-এর প্রশাসনিক সুবিধা প্রায় শূন্য। কালিম্পং ও দার্জিলিং এক জেলা থাকলেও কোনও অসুবিধা হত না। কিন্তু শিলিগুড়ির পৃথকীকরণ হওয়া উচিত ছিল আগেই। অভিযোগ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তাস খেলেছেন। তাই তার পাল্টা হিসেবে পৃথক জেলা হিসেবে শিলিগুড়ির দাবি উঠে পড়া সমীচিন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শিলিগুড়িকে পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষণার দাবিতে কংগ্রেসের জাকা কনভেনশনে তৃণমূলের মন্ত্রী গৌতম দেবকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেসে। গৌতম দেব এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কংগ্রেস তো নিশ্চিহ্ন হতে চলা একটা পার্টি। ওরা কী করছে, কী বলছে, তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।