ফের ছাত্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত রাজ্য, আহত সিপিএম বিধায়ক
ছাত্র সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত রাজ্য। মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তাল মালদহের তিনটি কলেজ। এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল মালদহ, গাজল এবং গৌড় কলেজ।
মালদহ, ২ জানুয়ারি : ছাত্র সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত রাজ্য। মনোনয়ন পত্র তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তাল মালদহের তিনটি কলেজ। এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল মালদহ, গাজল এবং গৌড় কলেজ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে গাজল কলেজে আহত হব্বিবপুরের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু। তাঁকে আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা বেধড়ক মারধর করে। এমনকি, তাঁর গলায় ছুরি চেপে ধরা হয় বলেও অভিযোগ।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। তাঁর প্রশ্ন, কিসের ভিত্তিতে কলেজ নির্বাচনে তিনি অর্থাৎ বিধায়ক গিয়েছিলেন? কলেজ নির্বাচনে কখনই বিধায়কের যাওয়ার কথা নয় বলেই দাবি জয়াদেবীর। তবে এসএফআই কর্মীদের কাছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা মার খেয়েছে বলে পালটা দাবি তাঁর। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক তৃণমূল ছাত্র পরিষদ চলবে বলেই দাবি রাজ্য সভানেত্রীর।
জানা গিয়েছে, আজ সোমবার সংসদ নির্বাচনের জন্যে মালদহের তিনটি কলেজ অর্থাৎ মালদহ, গাজল এবং গৌড় কলেজে মনোনয়ন পত্র তোলার দিন ছিল। সেই মতো সকাল থেকেই চলছিল মনোনয়ন পত্র তোলার কাজ। অভিযোগ, শাসক দলের ছাত্র পরিষদ এসএফআই কর্মীদের মনোনয়ন পত্র তুলতে বাধা দেয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দফায় দফায় তিনটি কলেজেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় গাজল কলেজে। এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধায়ক। সেই সময়ে টিএমসিপির কর্মীরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। যদিও তা অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
দুইপক্ষের সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। যদিও নতুন করে উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় সেজন্যে তিনটি কলেজেই বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। কলেজ চত্বরে রয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।