ফিল্মি কায়দায় সুন্দরবনের মাতলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে জলদস্যু ধরল পুলিশ, গ্রেফতার ৭, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র
ফিল্মি কায়দায় সুন্দরবনের মাতলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাত জলদস্যুকে পাকড়াও করল পুলিশ। মুক্তিপণ আদায়ের লোভে মৎস্যজীবীদের অপহরণ করতে সিদ্ধাহস্ত ছিল তারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১০ ডিসেম্বর : ফিল্মি কায়দায় সুন্দরবনের মাতলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাত জলদস্যুকে পাকড়াও করল পুলিশ। মুক্তিপণ আদায়ের লোভে মৎস্যজীবীদের অপহরণ করতে সিদ্ধাহস্ত ছিল তারা। এছাড়া নদী ঝাঁপিয়ে সীমান্ত এলাকা ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ডাকাতি করত তারা। এদিন এক বাংলাদেশি-সহ সাত জলদস্যুকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি একটি নৌকা ও প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গত রাতে কুলতলি থানারর পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে মাতলা নদীতে ঘাঁটি গেড়েছে একদল জলদস্যু। রাত ১২টার পর জলদস্যুদের ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহার নেতৃত্বে অভিযান চলে।
কৈখালিঘাট থেকে স্পিডবোর্ড নিয়ে ওই দস্যুদলকে তাড়া করে পুলিশ। বুঝতে পেরে নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয় সাতজন। পুলিশও নদীতে ঝাঁপিয়ে সাত জলদস্যুকে পাকড়াও করে আনে।
দস্যুদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচটি এক নলা বন্দুক। একটি ওয়ান শাটার, ৪২ রাউন্ড কার্তুজ ও বেশ কয়েকটি ছুরি। ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জন বাসন্তী এলাকার বাসিন্দা, একজন ক্যানিংয়ের, আর অন্যজন বাংলাদেশের বাসিন্দা। পুলিশ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের জিজ্ঞাসাবা করে অন্যান্য জলদস্যুদেরও জালে পুরতে চাইছে পুলিশ।
পুলিশ জানতে পেরেছে মূলত এরা মৎস্যজীবীদের অপহরণ করত। মৎস্যজাবীদের অপহরণ করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ লাভই জলদস্যুদের উদ্দেশ্য থাকত। সুন্দরবনে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরাও টার্গেট হয়ে ওঠে ওই সব জলদস্যুদের।