৮ দিনের পুলিশ হেফাজত উদয়নের, ইটবৃষ্টি আদালত চত্বরে
সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাসকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই উদয়নকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় জনতা। তাকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়।
বাঁকুড়া, ৭ ফেব্রুয়ারি : সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাসকে ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। মঙ্গলবার আদালতে পেশ করার সময় কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় জনতা। তাকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে আদালত চত্বরে।
বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এদিন আদালত চত্বরে। তবু বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ল আদালতে। প্রচুর লোক ভিড় জমায়। গাড়ি থেকে নামাতেই উত্তেজিত জনতা তাকে মারতে উদ্যত হয়। ইট ছোড়া হয় তাকে লক্ষ্য করে। পুলিশ ব্যারিকেডের মধ্যে আদালতে পেশ করা হয় তাকে।
নিজের বাবা-মা ও প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুন করে পুতে দেওয়ার ঘটনায় উদয়ন দাসের মধ্যে কোনও অনুতাপ নেই। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল সে খুবই স্বাভাবিক। এদিন আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিচারক জানান, এটা খুবই ব্যতিক্রমী ঘটনা। ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের তাকে আদালতে তোলা হবে।
বাঁকুড়া পুলিশের কাছে আকাঙ্ক্ষা অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা ছিল। এদিন অপহরণের পাশাপাশি খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। উদয়নের হয়ে মামলা লড়েন দুই আইনজীবী। নিয়মিত তার শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আটদিন হেফাজতের সুযোগ পেয়েছে পুলিশ। ফলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলবে।
উল্লেখ্য, গতকালই তাঁকে মধ্যপ্রদেশ থেকে বিমানে কলকাতায় উড়িয়ে এনে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। ডিজিসিএ-র অনুমতি ছাড়া বিমানে তোলা নিয়ে জট কাটাতে দেরি হয়ে যায়। সেই কারণেই উদয়নকে সোমবার রাজ্যে নিয়ে এলেও, আদালতে পেশ করা যায়নি। রাতেই দমদম বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে উদয়নকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়া সদর থানায় কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে রাখা হয়েছিল তাকে।