অবাধ্য ছাত্রদের সামলাতে না পেরে বীরভূমের কো-এড স্কুলে আজব নিয়ম চালু
অবাধ্য ছাত্ররা ক্লাসের সহপাঠী ছাত্রীদের হয়রানি করে, উত্ত্যক্ত করে। সেই ছাত্রদের সামলাতে ব্যর্থ স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর সেজন্যই অবাধ্য ছাত্রদের না সামলে আজব নিদান বীরভূমের এক স্কুলে।
অবাধ্য ছাত্ররা ক্লাসের সহপাঠী ছাত্রীদের হয়রানি করে, উত্ত্যক্ত করে। সেই ছাত্রদের সামলাতে ব্যর্থ স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর সেজন্যই অবাধ্য ছাত্রদের না সামলে আজব নিদান স্কুলের। ঠিক হয়েছে ছাত্ররা স্কুলে তিনদিন আসবে, আর ছাত্রীরা আসবে বাকী তিনদিন। সপ্তাহে একদিন রবিবার স্কুল ছুটি থাকবে। বীরভূমের খয়রাশোলে এক কো-এডুকেশন স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীরা একসঙ্গে ক্লাস করতে পারবে না। আলাদা ভাবে মেয়ে ও ছেলেদের ক্লাস হবে।
এই স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের বিরুদ্ধে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ২৩৮ জন ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ২২৮ জন। দুটি শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্ররাই মূলত অভব্যতা করছে বলে অভিযোগ। যা সামলাতে ব্যর্থ স্কুলের শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে ছয়দিন করে প্রতি পড়ুয়ার স্কুলে আসার সময় কমিয়ে তিনদিন করে দিয়েছেন।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। ছ'দিনের বদলে ক্লাস তিনদিন ক্লাস করে তারা কীভাবে সিলেবাস শেষ করবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞ থেকে অভিভাবক অনেকেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাসক দল পরিচালিত খয়রাশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। স্কুলের এক শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে সিদ্ধান্তের সমর্থনে জানিয়েছেন, ক্লাসে অনেক পড়ুয়া থাকে। সবাইকে সময় দেওয়া যায় না। রোল ডাকতে ডাকতেই অনেক সময় ঘণ্টা পড়ে যায়। এখন আলাদা করে অনেকটা সময় দেওয়া যাচ্ছে।
তবে ঘটনা জানার পরে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জেলা পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জেলা স্কুল পরিদর্শক ঘটনার তদন্ত করবেন বলেও জানা গিয়েছে।