বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরাও ঢুকতে পারলেন না বসিরহাটে, গ্রেফতার সতপাল-মীনাক্ষী-মাথুর
যতদিন না বসিরহাটে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন যেন কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে না যান বলে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিরোধী কোনও দলই সেই নিষেধাজ্ঞা শোনেনি।
বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকেও বসিরহাটে ঢুকতে দিল না পুলিশ-প্রশাসন। সেই মাইকেল নগরেই বিজেপি নেতা-নেত্রীদের পথ আটকালো পুলিশ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুলিশকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় গ্রেফতার করা হল বিজেপির তিন কেন্দ্রীয় নেতা-নেত্রীকে। গ্রেফতার হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তিন সাংসদ মীণাক্ষী লেখি, সত্যপাল সিংহ, ওম মাথুর।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন, বসিরহাটের পরিস্থি্তি যতদিন না সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসছে, স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন যেন কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে না যান। কিন্তু বিরোধী কোনও দলই সেই নিষেধাজ্ঞা শোনেনি। শুক্রবারই কংগ্রেস, বাম ও বিজেপির পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক প্রতিনিধি দল বসিরহাটে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পুলিশের পক্ষ থেকে সবকটি রাজনৈতিক দলেরই পথ আটকানো হয়। মাইকেল নগরে আটকানো হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলকে। ওই দলেই ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদার ও শমীক ভট্টাচার্য। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। একইভাবে এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকেও রুখে দেয় পুলিশ। বিজেপি নেতৃত্ব বসিরহাটে ঢুকতে নাছোড়বান্দা হলে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এদিনও পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপির প্রতিনিধি দল। পুলিশের কাছে অনুরোধ করা হয়, তারা উত্তেজনা ছড়াতে নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে চাইছেন। তবু পুলিশ তাঁদের ঢুকতে দেয়নি।
এদিকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ বসিরহাটকাণ্ডের প্রতিবাদে শহরে ধিক্কার মিছিল করে বিজেপি। বিজেপির সদর দফতর থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে শেষ হয় মিছিল। এরপর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যায় একটি প্রতিনিধি দল। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় রাজ্যপালের হাতে।