বন্ধ ফ্ল্যাটে তথ্যপ্রযুক্তিকর্মীর পচাগলা দেহ, কেন এই আত্মহত্যা, সুইসাইড নোটে কার নাম
সীমন্তের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল রবিবার। তারপর থেকেই সীমন্তের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। প্রতিবেশীরা জানান, ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল।
তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হল বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট ও এক তরুণীর বেশ কয়েকটি ছবি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে সল্টলেকের মহিষবাথানে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম সীমন্ত পাল (২৮)। তিনি সল্টলেকের একটি সংস্থায় তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে কাজ করতেন।
মঙ্গলবার সকালে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ বন্ধ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ছবিটি তাঁর প্রেমিকারই। প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণেই এই আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ ইতিমধ্যেই সীমন্তের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সুইসাইড নোটে উল্লেখ তরুণীর সঙ্গেও পুলিশ কথা বলবে বলে জানিয়েছে। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাস তিনেক আগে সীমন্ত মহিষবাথানে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। কিন্তু রবিবার থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না।
বন্ধুরাও পুলিশকে জানান, সীমন্তের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল রবিবার। তারপর থেকেই সীমন্তের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। প্রতিবেশীরা জানান, ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। আমরা সবাই মনে করেছিলাম, কেউ নেই ফ্ল্যাটে। তবে এদিন ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। তারপরই খবর দেওয়া হয় থানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুইসাইডনোটে লেখা রয়েছে তা্ঁর প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কথা। প্রেমিকা হোয়াটস অ্যাপে কোনও উত্তর দিত না। শেষপর্যন্ত শান্ত-লাজুক স্বভাবের সীমন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বন্ধুরা জানায়, এমনিতেই কম কথা বলত। খুব চাপা স্বভাবের ছিল সে। তবে তাদেরকেও সীমন্ত জানিয়েছিল প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা। প্রেমিকার একটি ছবিও সম্প্রতি ফেসবুকে আপলোড করেছিল সীমন্ত।