পাহাড়ের সমস্যা আইনশৃঙ্খলার নয় রাজনৈতিক, মমতাকে কী বার্তা দিতে চাইলেন রোশন গিরি
পাহাড়ে এই অচলাবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়কেই ঘুরিয়ে দায়ী করলেন রোশন। পাহাড়ে অশান্তি জারি থাকার জন্য কেন্দ্রের হাত গুটিয়ে বসে থাকাও অনেকাংশে দায়ী।
পাহাড়়ে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নেই। সমস্যা রাজনৈতিক। তাই তা মেটাতে হবে রাজনৈতিকভাবেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের এই সরল সত্যটা বোঝা উচিত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাধারণ জিনিস বুঝছেন না বলে অভিযোগ করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সম্পাদক রোশন গিরি। তিনি এদিন কেন্দ্রীয় সরকারেরও সমালোচনা করেন।
মোর্চা সম্পাদক বলেন, দার্জিলিঙে গোর্খারা আদৌ সুরক্ষিত নয়। এখানকার বাসিন্দারা আলাদা রাজ্য চায়। তাই পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব পাহাড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পাহাড়ের মানুষের দাবি মেনেই গোর্খাল্যান্ড চা্ইছে। লাগাতার আন্দোলনে সামিল হয়েছে। সেই আন্দোলন অনেক সময়ই হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা আইনশৃঙ্খলার সমস্যা নয়। এই সমস্যার বীজ লুকিয়ে রয়েছে রাজনীতির অন্দরেই।
প্রশাসন মোর্চার এই আন্দোলন রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। আন্দোলন প্রতিহত করতে সেনা ও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। মোর্চার দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। এখানেই আপত্তি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতৃত্বের। দলের সম্পাদক রোশন গিরি তাই শরণাপন্ন হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
দিল্লিতে গিয়ে হত্যে দিয়ে পড়ে থেকেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে জানালেও, তার কোনও ফল মেলেনি। কোনও আলোচনার ব্যবস্থাও করা হয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তরফে।
রোশন গিরি বলেন, পাহাড়ে মোর্চা অফিসে পুলিশি তল্লাশির পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে। কিন্তু আদতে কিছুই হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত হাত গুটিয়ে বসে আছেন বলে দাবি করেন তিনি।
পাহাড়ে এই অচলাবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়কেই ঘুরিয়ে দায়ী করেন তিনি। আর পাহাড়ের অশান্তি জারি থাকার জন্য কেন্দ্রের হাত গুটিয়ে বসে থাকাও অনেকাংশে দায়ী বলে মন্তব্য গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সম্পাদক রোশন গিরির।