সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি, গুলিতে মৃত্যু দোকান মালিকের
সোনারপুরের একটি সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় উত্তাপ ছড়াল। ডাকাতের ছোড়া গুলিতে দোকান মালিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও মোট তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যার মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন।
কলকাতা, ৩ এপ্রিল : সোনারপুরের একটি সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় উত্তাপ ছড়াল। ডাকাতের ছোড়া গুলিতে দোকান মালিক দীপক দেবনাথের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও মোট তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যার মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের থানার অদূরে এলাকায়। সোনার দোকান লুঠের পর গুলি ছুড়ে বোমা মারতে মারতে দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, সন্ধ্যায় সাতটা বাজার পরপর ক্রেতা সেজে মোট ৬-৭ জন দুষ্কৃতী সোনার দোকানে ঢোকে। বন্দুক উঁচিয়ে লকারের চাবি চায়। মালিক তাতে রাজি না হওয়ায় গুলি চালায় ডাকাতেরা। এভাবেই কাজ হাসিল করে গুলি চালিয়ে, বোমা মেরে দোকান থেকে চম্পট দেয়।
ঘটনার খবর পেয়েই পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুলিশের তাড়া খেয়ে ডাকাতরা প্রথমে দু'ভাগে ভাগ হয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশি জালে ধরা পড়ে যায় তিনজন।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশি ডাকাত লাবলু সর্দার। এছাড়াও মঞ্জিলা খান নামে এক মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই ডাকাতির ঘটনা। বাসন্তী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঞ্জিলা খানের স্বামীও জড়িত রয়েছেন এই ডাকাতিকাণ্ডে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয়েছে আতিয়ার রহমান লস্কর নামে এক অটো চালককে। এই অটোতে করেই ডাকাতরা হানা দিয়েছিল। ডাকাতি করে দোকান মালিককে চপার দিয়ে কুপিয়ে তারা গুলি ও বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। আজ ধৃত লাবলুর টিআই প্যারেড হবে।