মালদহে বেহুলার জল বইছে জাতীয় সড়কে, বিচ্ছিন্ন উত্তর-দক্ষিণ সড়ক যোগাযোগ
উত্তরবঙ্গজুড়ে প্রবল বন্যায় উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের রেল ও সড়ক যোগাযোগ সপ্তাহভর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। শুক্রবার থেকে সেই যোগাযোগ একটু একটু করে চালু হতে থাকে। ফের বন্যা পরিস্থিতিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
দুই দিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, মালদহের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। রবিবার বেহুলা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে পুরাতন মালদহের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এমনকী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে বেহুলার জল। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। জাতীয় সড়কের উপর নদী বইতে শুরু করায় ফের একবার উত্তর-দক্ষিণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিন মহানন্দার জল ফের বেড়েছে। ফলে চাঁচল থেকে মালদহগামী রাস্তা চলে গিয়েছে জলের তলায়। তারপর মানিকচকে বারামাসিয়া নদীর উপর সর্জুল সেতুর রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। জলের তোড়ে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে একেবারেই। এমতাবস্থায় মালদহের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে অন্যান্য অংশের।
উত্তরবঙ্গজুড়ে প্রবল বন্যায় উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের রেল ও সড়ক যোগাযোগ সপ্তাহভর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। শুক্রবার থেকে সেই যোগাযোগ একটু একটু করে চালু হতে থাকে। শুক্রবারই প্রথম মালদহ থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের বাস। বেসরকারি বাসও চলতে শুরু করে। এরপর শনিবার থেকে ট্রেন চলাচলও শুরু হয়। কলকাতা থেকে মালদহ একজোড়া ট্রেন চলে। রবিবারও ট্রেন চালানো হয়েছে।
এরই মধ্যে রবিবার বন্যার জলে ভাসতে থাকে জাতীয় সড়কও। এখন আশঙ্কা, শিলিগুড়ি গামী বিকল্প সড়ক পথও না বন্ধ হয়ে যায় মালদহের এই বন্যার জেরে। কেননা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক মহানন্দার জলে ডুবে যাওয়ায় এখনও ওই রাস্তায় যান চলাচল শুরু হয়নি।
বিকল্প রাস্তা হিসেবে মালদহ থেকে গাজোল, বুনিয়াদপুর, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ হয়েই শিলিগুড়ি যাচ্ছিল বাস। এখন মালদহে বেহুলা নদীর জল জাতীয় সড়়ক ডুবিয়ে দেওয়ায় সেই সম্ভাবনাও ক্ষূণ হয়ে পড়ল। শনিবার রাত থেকেই ফের প্রবলভাবে বাড়তে থাকে মহানন্দার জল। তারই জেরে বেহুলা নদী বিপদসীমার উপরে চলে যায়। এবং নতুন করে প্লাবন দেখা দেয় পুরাতন মালদহে।