আরাবুলকে সরিয়ে সর্বসম্মতভাবে ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি রেজ্জাক
কলকাতা, ১৫ জুলাই : দক্ষিণ ২৪ পরগায় আরও খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়লেন তৃণমূলের বিতর্কিত নেতা আরাবুল ইসলাম। ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করা হল আরাবুলকে। সেই জায়গায় নতুন সভাপতি হলেন এলাকার স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা। [বিধানসভা ভোট ২০১৬ : ইনি একমাত্র প্রার্থী যিনি দুটি দল থেকে বহিঃষ্কৃত হয়ে ভোটে লড়ছেন]
শুক্রবার কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন রোজ্জাক।[রেজ্জাক মোল্লার নামে জবাবদিহি করতে গিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত আরাবুলের!]
দল একই হলেও রেজ্জাক-আরাবুলের সম্পর্ক 'কুস্তির'। গত নির্বাচনে বাম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সেই রেজ্জাককে দল প্রার্থী করেছিল আরাবুলেরই কেন্দ্র থেকে। তারই উপর বর্তেছিল রেজ্জাকের ভোট সামলানোর দায়িত্ব। দসনেত্রীর নির্দেশ বাঁকা মুখেই মানতে হয়েছিল তৃণমূলের এই 'তাজা নেতা'কে।
কিন্তু এর পরই দুজনের দোস্তি করাতে পারেননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে যার নিজের জায়গায় রয়েছে। রেজ্জাকের সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন আরাবুল সামনে ভোটের প্রচার করছেন, আর পিছনে নিজের লোকেদের দিয়ে বলে দিচ্ছেন তাঁকে ভোট না দিতে। এখন তার জায়গায় নতুন সভাপতি হয়ে অবশ্যই আর একবার আরাবুলকে কিস্তিমাত দুলেন রেজ্জাক।
২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরপরই ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন আরাবুল। ২০১২ সালেই তাঁর বিরুদ্ধে কলেজের শিক্ষিকাকে জগ ছুঁড়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা নিয়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠলেও ওই পদ থেকে তখন সরানো হয়নি আরাবুলকে। [[উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীনই আরাবুলের মস্তানি, দর্শক পুলিশ]]
কিন্তু একের পর এক ঘটনায় দলবিরোধী কাজের জন্য আরাবুলকে সাসপেন্ড করে দল। যদিও পরে ফের তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরিয়ে আনা হয়, কিন্তু তখন থেকেই তাঁর গুরুত্ব কমতে শুরু করে। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে রেজ্জাক মোল্লার নির্বাচনী এজেন্ট করে তাঁর ডানা অনেকটাই ছেঁটে দেওয়া হয়। এবার ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতি থেকে সরিয়ে এক সময়ের এই তাজা নেতার গুরুত্ব খর্ব করার বৃত্তটাই সম্পূর্ণ হল বলে মনে করছেন তৃণমূলেরই একাংশ।