পাহাড়ে দুর্যোগ কাটল, তিনদিন গৃহবন্দি পর্যটকরা নামছেন সমতলে, জাতীয় সড়কের মেরামত যুদ্ধকালীন তৎপরতায়
শিলিগুড়ি, ১৪ অক্টোবর : পাহাড়ে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় পর্যটকদের স্বস্তি মিলল। শুক্রবার সকাল থেকেই পাহাড়ে দুর্যোগ কেটে রোদের দেখা মিলেছে। ফলে তিনদিন পাহাড়ে গৃহবন্দি থাকার পর রোদ দেখেই পর্যটকরা সমতলে নামতে শুরু করেছেন। তিনদিন ধরে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি এবং মাটি ধসে বিপর্যস্ত পাহাড় তথা উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার উপর অধিক বৃষ্টির কারণে মহানন্দা, জলঢাকা, রঙ্গি, ঘিচ প্রভৃতি পাহাড়ি নদীর জল বিপদসীমা ছুঁয়েছে। নদীর উপর ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সমতলের সঙ্গে যোগাযোগ।
সেই ব্রিজ মেরামত করে যান চলাচল শুরু হলেও বুধবার রাতে ফের বিপত্তি ঘটে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায়। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালবাজার সহ বেশকয়েকটি জায়গায় বৃহস্পতিবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলমগ্ন। মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন সমতলে।
এদিকে, কালিঝোড়ার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমে নদীতে তলিয়ে যায় ২৭ ফুট রাস্তার অর্ধেকাংশ। সেই থেকেই যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। অবশিষ্ট আছে মাত্র ১৩ ফুট রাস্তা। যদিও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ওই পথ দিয়েই পর্যটকের কিছু গাড়ি নামছে সমতলে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই রাস্তায় মেরামতের কাজ চলছে। গত দু'দিন আবহাওয়া খারাজ থাকায়, অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জেরে মেরামতের কাজ করা যাচ্ছিল না।
তবে এদিন আবহওয়ার উন্নতি হওয়ায় মেরামতের কাজ শেষ করা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। আপাতত সিঙ্গল লেন খুলে দেওয়া হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের। ওই সিঙ্গল লেন দিয়ে বড় এবং ছোট গাড়িকে পাশ করানো হচ্ছে বিপজ্জনকভাবে।