‘ক্যান্ত’-এর পর বঙ্গোপসাগরে সাগরে হাজির ‘নাদা’, আজ থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে শুরু বৃষ্টি
‘ক্যান্ত'-এর পর এসে গেছে ‘নাদা'। ঘূর্ণাসুর ‘ক্যান্ত' দুর্যোগের বাতাবরণ তৈরি করেও দীপাবলির উৎসবে জল ঢালতে পারেনি। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় নাদার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।
কলকাতা, ৩ নভেম্বর : 'ক্যান্ত'-এর পর এসে গেছে 'নাদা'। ঘূর্ণাসুর 'ক্যান্ত' দুর্যোগের বাতাবরণ তৈরি করেও দীপাবলির উৎসবে জল ঢালতে পারেনি। তবে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় নাদার প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের মুখ যেদিকেই হোক আগামী দু'দিন প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। [কেন প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা নাম দেওয়া হয় জানেন কি? জেনে নিন]
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই আকাশজুড়ে বৃষ্টি নেমেছে। ক্যান্তের পর নাদার উপস্থিতি শীতের উত্তরে বাতাসকে থমকে দিয়েছে। ক্রমেই নাদার শক্তিবৃদ্ধি হওয়ায় শীতের গতিপথ আপাতত রুদ্ধ। এখন আগামী দু'দিন বর্ষার আমেজ থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যজুড়ে। সমুদ্র তীরবর্তী জেলাগুলিতে বজ্র-বিদু্ৎসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'নাদা'। যার বাংলা অর্থ শিশির। এবার এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে ওমান। এই মুহূর্তে নাদা অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। আন্দামানের কাছাকাছি। অভিমুখ অন্ধপ্রদেশ ও ওড়িশার দিকে। তবে যেকোনও সময়েই অভিমুখ ঘুরে বাংলা ও বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তাল হবে সমুদ্র।
মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হাওয়া অফিস। আবহবিদরা জানিয়েছেন, এখনও কোন দিকে ধেয়ে যেতে পারে নাদা, তা স্পষ্ট নয়। তবে যেহেতু এ রাজ্যের অদূরেই অবস্থান করছে নিম্নচাপ, ভারী বৃষ্টি হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। উত্তাল হবে সাগর।