মাহালি দম্পতিকে যোগদান তৃণমূলে বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি রাহুলের
নকশালবাড়ির মাহালি দম্পতিকে অপহরণ করে তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে ছ’ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
কলকাতা, ৩ মে : নকশালবাড়ির মাহালি দম্পতিকে অপহরণ করে তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে ছ'ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি এই ঘটনাকে বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ বলে ব্যাখ্যা করে বললেন, এই ঘটনা তৃণমূলের রাজনৈতিক দৈনদশার প্রমাণ। তৃণমূল এই ঘটনা ঘটিয়ে বালখিল্য করে ফেলেছে। ফলে মাহালি দম্পতিকে জোর করে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে বিজেপিকেই অ্যাডভান্টেজ দিয়েছেন গৌতম দেব।
রাহুল এদিন দাবি করেন, এই ঘটনায় ব্যাপকভাবে ক্ষতি হবে তৃণমূলের। কারণ হুমকি ও গুণ্ডামি করে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। পুলিশ কে দলদাসে পরিণত করেছে তৃণমূল। সেই কারণেই মাহালি দম্পতির অপহরণের অভিযোগ প্রথমে নিতে চায়নি পুলিশ। এবং গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা খুবই হতাশাজনক।
তৃণমূল এখন মনে করছে, বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই, সে আমাদের শত্রু। তাঁর উপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। এই নিপীড়নের রাজনীতির শেষ করতে হবে। তাই এর বিরুদ্ধে চলবে লাগাতার প্রচার। রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ যেমন দাবি করা হবে, তেমনি এসসি-এসটি কমিশনেও জানানো হবে।
রাহুল সিনহা দাবি করেন, ওই পরিবার আমাদের সদ্য ছিল না। বিজেপি-র তরফ থেকে ৫০টি পরিবারকে বেছে নেওয়া য়েছিল, তার মধ্যে ওই আদিবাসী পরিবারে আমাদের সর্বভারতীয় নেতা মধ্যাহ্নভোজ সারবেন বলে স্থির করা হয়। সেইমতো রাজু-গীতা মাহালি-রা আপ্যায়ন করেন অমিতজিকে।
এখন তো সব দেখে মনে হচ্ছে ওই পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। তাঁদের অপহরণ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হয়েছে, আবার যোগ দেওয়ানোর পর তাঁদের বাড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যত্র। অর্থাৎ দু'বার অপহরণ করা হল মাহালি দম্পতিকে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, এভাবে বিজেপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এইভাবে চাপ সৃষ্টি করে মানুষের মন থেকে বিজেপিকে মুছে ফেলা যাবে না।