বেপরোয়া লরি ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যু, অবরোধ তুলতে এসে বাঁশপেটা খেয়ে পালাল পুলিশ
বেপরোয়া লরির ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা। অবরোধ তুলতে এসে উত্তেজিত জনতার হাতে বাঁশপেটা খেয়ে এলাকা ছেড়ে পালাল পুলিশ।
মুর্শিদাবাদ, ২৪ মার্চ : বেপরোয়া লরির ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা। অবরোধ তুলতে এসে উত্তেজিত জনতার হাতে বাঁশপেটা খেয়ে এলাকা ছেড়ে পালাল পুলিশ। আক্রান্ত হলেন আইসি ও এসডিপিও। এরপর বিশাল পুলিশ বাহিনী নামিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়। নামানো হয় র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স, সিআইএসএফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
বাঁশ হাতে জনতা তাড়া করেছে পুলিশকে। পুলিশ ভয়ে পালাচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসনের করুণ ভূমিকার ছবি ফের ফুটে উঠল রাজ্যে। এবার মুর্শিদাবাদ। মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার এনটিপিসি মোড়ে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক স্কুল ছাত্রীর। এরপরই উত্তেজিত জনতা ঘাতক লরিটিতে ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় অন্যান্য গাড়িতেও। অগ্নিসংযোগ করে দেওয়া হয় ভাঙচুর করার পর। অবরোধ শুরু হয় এলাকায়।
এরপরই অবরোধ তুলতে ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ আসার পরই আরও ভয়াবহ রূপ নেয় পরিস্থিতি। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষভ উগরে দেয় স্থানীয় জনতা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা নিয়ে তবেই লরি ছাড়ে পুলিশ। এর ফলে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে অনেক সময় বেপরোয়াভাবে লরিগুলি চালানো হয়। আর সেই কারণেই এদিন প্রাণ দিতে হল এক স্কুল ছাত্রীকে।
পুলিশের উপর বহুদিনের পুঞ্জীভূত রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এদিন। পুলিশ এলেই তাই মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। বাঁশ নিয়ে তাড়া করা হয় পুলিশকে। মারধরও করা হয়। আইসি, এসিডিপিও-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী গুরুতর জখমও হয়েছেন। রক্তাক্ত হয়ে হয়েছে পুলিশকে। এরপর র্যাফ, সিআইএসএফ নামিটেও কাজ হয়নি। বিশাল পুলিশ বাহিনী আসার পর আনিকটা থিতিয়ে গেলেও, পরিস্থিতি থমথমে।