বাঙালি ‘সাইকো কিলার’ উদয়ন ভুয়ো এসএমএস পাঠিয়েছিল হাওড়ার বাসিন্দা নিজের কাকাকেও
এবার খোঁজ মিলল বাঙালি সাইকো কিলারের। বিশ্বে এমন নজির থাকলেও, বাংলায় সাইকো কিলারের নজির ছিল না। সেই অভাবও পূর্ণ করে দিল উদয়ন। উদয়নের বাংলা যোগও খুঁজে পেয়ে গেলেন তদন্তকারীরা।
হাওড়া, ৮ ফেব্রুয়ারি : এবার খোঁজ মিলল বাঙালি সাইকো কিলারের। বিশ্বে এমন নজির থাকলেও, বাংলায় সাইকো কিলারের নজির ছিল না। সেই অভাবও পূর্ণ করে দিল উদয়ন। উদয়নের বাংলা যোগও খুঁজে পেয়ে গেলেন তদন্তকারীরা। উদয়ন মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা নয়, সে একেবারে খাঁটি বাঙালি। বাংলাদেশ থেকে তাঁর পরিবার হাওড়ার সালকিয়ায় বাসা বেঁধেছিল। তারপরই উদয়নের বাবা চলে যায় মধ্যপ্রেদেশে।[৮ দিনের পুলিশ হেফাজত উদয়নের, ইটবৃষ্টি আদালত চত্বরে]
এখনও হাওড়ায় থাকেন উদয়নের কাকা রবীন্দ্রনাথ দাস। ভাইপোর 'কীর্তি'তে তাঁর মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। এমনকী তাঁকেও ভুয়ো এসএমএস পাঠিয়েছিল উদয়ন। সেই এসএমএসকে তেমন গুরুত্ব দেননি রবীন্দ্রনাথবাবু। চাপা ক্ষোভ ছিল নিজের দাদার প্রতি। একসঙ্গে আর দশটা বাঙালি পরিবারের মতো পিঠোপিঠি ভাইয়েরা বড় হয়ে উঠলেও পরবর্তী সময়ে দাদা ভুলে গিয়েছিলেন। আর কোনও যোগাযোগ রাখেনিন ভাইয়ের সঙ্গে।[২০১০ সালে বাবা-মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল উদয়ন, খুনের মোটিভ চমকে দেওয়ার মতো]
সেই ১৯৯২ সালে ছোট্ট উদয়নকে দেখেছিলেন মায়ের কোলে। তখনই শেষ দেখেছিলেন ভাইয়ের পরিবারকে। ডায়মন্ড হারবারে সূর্যাস্ত দেখতে এসেছিলেন তাঁরা। পরে এই সূর্যাস্ত দেখার কথাই নিজের ভুয়ো ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছিল উদয়ন। লিখেছিল, এই সূর্যাস্ত দেখতে এসেই নাকি জাহাজ তৈরির কথা মাথায় আসে। সেইমতোই জাহাজ তৈরির পরিকল্পনা কষা হয়।[শহরের আতঙ্ক এবার 'ফেসবুক কিলার'!]
পুরনো দিনের কথা মনে করে আবেগতাড়িত রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, বড় হয়ে ঝুরি ঝুরি মিথ্যা কথা বললেও, ছোট্ট উদয়নের স্বভাব ছিল আর পাঁচটা ছোট্ট শিশুর মতো। মায়ের কোল ছাড়তেই চাইত না সে। এখনও সে সব ছবি চোখর সামনে ভাসে। সেই উদয়নই এখন সাইকো কিলার। একে একে নিজের বাবা, মা ও প্রেমিকাকে খুন করেছে সে। তারপর সেই দেহগুলি পুতে ফেলেছে নিজের বাড়ির মেঝেতে। তবুও নির্বিকার সে। [ফেসবুকে 'রূপকথার সাম্রাজ্য' গড়েছিল সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাস!]