ভোগান্তির নভেম্বর ‘বিপ্লব’ শেষ, এতদিনে ৫০০-র নোট ছাপার প্রক্রিয়া শুরু শালবনিতে
শালবনিতে ৫০০ টাকার নোট ছাপার কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। পুরোদমে ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজ শুরু হতে হতে শেষ হয়ে যাবে এই সপ্তাহও।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও কলকাতা, ১ ডিসেম্বর : নোট বাতিলে ভোগান্তি ২৪ দিনে পড়ল। অনেক আন্দোলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদের পরও এখনও পুরোদমে কাজ শুরু হল না শালবনীর টাঁকশালে। শালবনিতে ৫০০ টাকার নোট ছাপার কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে। পুরোদমে ৫০০ টাকার নোট ছাপানোর কাজ শুরু হতে হতে শেষ হয়ে যাবে এই সপ্তাহও।
গত ৮ নভেম্বর দেশে ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে খুচরো সমস্যা প্রকট। বাজারে ২০০০ টাকা এলেও সমস্যা মোটেনি। মূল সমস্যা ৫০০ টাকা। নতুন ৫০০ টাকার জোগান নেই আদৌ। সেই ঘাটতি মেটাতে এতদিনে এ রাজ্যের শালবনী টাঁকশালের একটি মেশিনে অফসেট প্রিন্টিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
এই নোট বাজারে আসতে সময় লাগবে অন্ততঃ আরও তিন-চার সপ্তাহ। দেরিতে হলেও শালবনি টাঁকশালে ৫০০ টাকার নোট ছাপা শুরু হওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে সমস্যা মিটতে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে, এই কাজটাই তো অনেক আগে শুরু করা যেত। তাহলে এতদিন অনেকটাই সমস্যা মিটে যেত।
এই টাঁকশালে তিন শিফটেই ৫০০ টাকার নোট ছাপার কাজ শুরু হতে চলছে। এক একটি পাতায় ৪০টি ৫০০ টাকার নোট থাকে। শালবনিতে পাঁচটি মেশিন ৫০০ টাকার নোট ছাপার পক্ষে উপযোগী। প্রতি মেশিনের প্রতি শিফটে ৩০ লক্ষ ৫০০ টাকার নোট ছাপা সম্ভব। যদি পাঁচটি মেশিনেই ৫০০ টাকার নোট ছাপা হয় তাহলে প্রতিদিন তিন শিফটে সাড়ে চার কোটি নোট ছাপা সম্ভব।
এই নোট ছাপা শুরু হওয়ায় স্বভাবতই খুশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। ইউনিয়নের তরফে দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ৫০০ টাকার নোট ছাপার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। কিন্তু সেই কাজ শুরু হয়নি। কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও দিয়েছি। মাসখানেক আগে থেকে শালবনিতে ৫০০ টাকার নোট ছাপা শুরু হলে এই সংকট তৈরি হত না। অনেক আগেই সঙ্কট দূর করা যেত।