৫০০ টাকা চাঁদার জন্য অশোকনগরে অন্তঃসত্ত্বার পেটেই লাথি মাতব্বরদের, তোলপাড় এলাকা
নির্মম এই ঘটনায় এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্বামীকে পুজো কমিটির মাতব্বরদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে গৃহবধূর এই হাল বলে জানা গিয়েছে।
চাঁদার জুলুমবাজি। আর তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা পেশায় ভ্যান চালক বরুণ ব্যাপারি। তাঁর কাছে ৫০০ টাকা চাঁদা চেয়েছিল স্থানীয় শীতলা পুজো কমিটির মাতব্বরেরা। কিন্তু, এই পরিমাণ চাঁদা দিতে অস্বীকার করেছিলেন বরুণ। যার জেরে মঙ্গলবার চাঁদা আদায়কারীরা বরুণকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করতে শুরু করে।
এই সময় স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে যান বরুণের স্ত্রী সীমা ব্যাপারি। তিনি কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। চাঁদা আদায় করতে আসা লোকজন অন্তঃসত্ত্বা সীমার পেটে সরাসরি লাথি মারে বলে অভিযোগ।
লাথির আঘাতে মাটিতে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন ওই গৃহবধূ। প্রায় অচৈতন্যও হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান সীমার গর্ভস্থ সন্তান মারা গিয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
সীমা আপাতত হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার তাঁর অস্ত্রোপচার করে গর্ভস্থ মৃত সন্তানকে বের করেছেন চিকিৎসকরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা।