অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে চুটিয়ে পরকীয়া স্বামীর, গণধোলাই প্রেমিকাকে
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাড়িতে একা রেখে চুটিয়ে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্বামী। শেষমেশ স্ত্রী হাতে ধরা পড়ে পগার পার ‘প্রেমিক’ স্বামী।
জলপাইগুড়ি, ২৪ নভেম্বর : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাড়িতে একা রেখে চুটিয়ে পরকীয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন স্বামী। শেষমেশ স্ত্রী হাতে ধরা পড়ে পগার পার 'প্রেমিক' স্বামী। ভাড়াবাড়িতে স্বামীর প্রেমিকাকে পেয়ে গণধোলাই দিল স্থানীয় জনতা। পরকীয়ার শাস্তি জুটল একা প্রেমিকার কপালেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গণধোলাইয়ের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রেমিকাকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনির।
স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীর প্রেমিকা প্রায়ই তাঁকে ফোন করে প্রাণে মারার হুমকি দিত। স্বামীকে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। সঠিক পথে ফেরাতে পারেননি স্ত্রীকে। তাই ঘরের কেচ্ছা বাইরে আনতে হল। শুধু তাঁরই অভিযোগ ছিল না ওই মহিলার বিরুদ্ধে, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয়দের অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাড়ি ভাড়া করে মধুচক্র চালাত ওই মহিলা।
অভিযোগের
তির
জলপাইগুড়ি
রংধামালির
বাসিন্দা
তপন
শর্মা
ও
তার
প্রেমিকা
শিখা
হাজরার
দিকে।
অভিযোগ,
বিবাহবিচ্ছিন্না
শিখাদেবী
তিন-চার
বছর
ধরে
তপনবাবুর
সঙ্গে
সম্পর্কে
জড়িয়ে
পড়ে।
শিখাদেবীর
দাবি,
তপন
তাঁকে
মন্দিরে
নিয়ে
গিয়ে
বিয়ে
করে।
তারা
এই
বাড়িতে
স্বামী-স্ত্রী
হিসেবেই
থাকত।
এক
বছর
আগে
মুক্তা
শর্মা
নামে
এক
মহিলাকে
বিয়ে
করেন
তপন।
তখন
তপন
শিখাকে
জানায়,
বাড়ির
চাপে
সে
বিয়ে
করতে
বাধ্য
হয়েছে।
মাঝেমাঝেই তপন বাইরে রাত কাটানোয় সন্দেহ দৃঢ় হয় মুক্তার। মুক্তার অভিযোগ, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও তপন বাইরে রাত কাটাত। এর মধ্যে তাঁর কাছে একটি হুমকি ফোন আসতে থাকে। এক মহিলা তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিল ওই ফোনে। পরে জানতে পারেন ওই হুমকি ফোন শিখার।
পঞ্চায়েত প্রধান সদানন্দ সরকারের অভিযোগ, তিনি খবর নিয়ে জেনেছেন বাড়া ভাড়া নিয়ে মধুচক্র চলত। বাড়ির মালিকও তাঁর দায় এড়াতে পারেন না। তাঁর জেনে নেওয়া উচিত ছিল, কাদের ভাড়া দিচ্ছেন,তারা আদ্য স্বামী-স্ত্রী কি না। কোনও পরিচয়পত্র ছাড়া বাড়ি ভাড়া দিয়ে তিনি ঠিক কাজ করেননি।