বীরভূমে বাড়ির দুর্গাপুজোয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়
বীরভূম ৮ অক্টোবর : বাড়ির দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে বীরভূমের কীর্ণাহারের মিরিটিতে এলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। শনিবার সকালে নিজে পায়ে হেঁটে নবপত্রিকা স্নান করাতে যান তিনি। বাড়ির পুজোর সূচনা হয় তাঁর হাতেই। এই পুজোকে ঘিরে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তায় সেজে ওঠে গোটা মিরিটি গ্রাম।গতকাল বিকেল ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে কীর্ণাহারের হেলিপ্যাডে নামেন তিনি। সপ্তমীর দিন সকাল থেকেই মাতৃ আরাধনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে সেনা ছাউনি উদ্বোধনেও যান তিনি।
ষষ্ঠীর বিকেলে কীর্ণাহারের পরটা গ্রামে দিদি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে থামে রাষ্ট্রপতির কনভয়। সেখান থেকে ছ'টা নাগাদ দিদিকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি মিরিটি গ্রামের বাড়িতে আসেন। বলেন, আমার বাড়ির ১২০ বছরের পুজো। এই দিনটিতে বাড়ির সকলেই একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করি। সেইসঙ্গে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শারদ শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতির বাড়ির পুজোয় ঘিরে এলাকায় প্রবল উৎসাহ। রাষ্ট্রপতি নিজে পুজোর পোশাকে পায়ে হেঁটে নবপত্রিকা স্নান করাতে যাচ্ছেন, তা দেখতে রাস্তার দু'ধারে উৎসাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন চণ্ডীপাঠও করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই দেশের হাইপ্রোফাইল নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনিক ব্যস্ততা ছিলই। সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কীর্ণাহার। শুধু বীরভূম জেলা অতিরিক্ত ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির গ্রাম ও বাড়িতেও নিরাপত্তার বজ্র আাঁটুনি।
সেইসঙ্গে
তাঁরা
প্রশাসনিক
কর্মসূচিও
রয়েছে।
আজ
রাষ্ট্রপতি
প্রণব
মুখোপাধ্যায়ের
মুর্শিদাবাদ
সফর
ঘিরে
কড়া
নিরাপত্তা
বেষ্টনী
নবগ্রামের
বিস্তীর্ণ
এলাকায়।
হেলিকপ্টারে
করে
নবগ্রাম
আসেন
তিনি।
সকাল
১০টায়
সেনা
ছাউনির
উদ্বোধন
সেরে
সিউড়ি
ইন্ডোর
স্টেডিয়ামে
সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত
হবেন
রাষ্ট্রপতি।
এরপর
আবার
তিনি
ফিরবেন
মিরাটির
বাড়িতে।
প্রসঙ্গত,
দেশের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী
থাকাকালীন
নিজেই
তৎকালীন
সরকারের
কাছে
নবগ্রামে
সেনা
ছাউনি
গড়ার
প্রস্তাব
দিয়েছিলেন।
সীমান্তবর্তী জেলার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই তৎকালীন সরকারের থেকে নবগ্রাম সেনা ছাউনির অনুমোদন আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে এই সেনা ছাউনির শিলান্যাসও করেন তিনি। আজ তাঁর হাতেই নবগ্রাম সেনা ছাউনির উদ্বোধন হল।