শ্রীনু খুনে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে, তৃণমূলের তির ধেয়ে আসায় সিবিআই তদন্ত দাবি দিলীপের
খড়গপুরের মাফিয়া ডন শ্রীনু খুনে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির। তৃণমূলের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে বিজেপিই।
পশ্চিম মেদিনীপুর , ১৩ জানুয়ারি : খড়গপুরের মাফিয়া ডন শ্রীনু খুনে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির। তৃণমূলের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে বিজেপিই। অভিযোগের তির বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি খোদ দিলীপ ঘোষের দিকে। খড়গপুরের বিধায়ক বিজেপির রাজ্য সভাপতির অঙুলিহেলনেই ওইদিন বন্দুকবাজ হামলা চালানো হয় তৃণমূল পার্টি অফিসে।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য সমূলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের এই অভিযোগ। তিনি বলেন, ওঁদের পার্টি অফিসে এই হামলার পিছনে রয়েছে তৃণমূলেরই একটা অংশ। আমরা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করছি। সিবিআই তদন্ত করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, কী কারণে এই খুন ও কারা রয়েছে এই খুনের পিছনে?
উল্লেখ্য, রামবাবুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পরই উত্থান শ্রীনুর। বিজেপির ছত্রছায়ায় থেকেই ধীরে ধীরে খড়গপুরের বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন শ্রীনু। গত পুরভোটে বিজেপি-র পয়লা নম্বর সৈনিক ছিলেন এই শ্রীনিবাস নাইডু। কিন্তু শ্রীনু ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে রাজ্যের শাসকদলে নাম লেখান।
তাঁর স্ত্রী বিজেপি-র টিকিটে কাউন্সিলর হন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনিও স্বামীর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন। শ্রীনুর শাগরেদ ও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, শ্রীনু দল ছাড়ার পর থেকেই বিজেপি থেকে হুমকি দেওয়া হত। শ্রীনুর এই দলবদল কিছুতেই মানতে পারেনি বিজেপি। তাই বদলা নিতে এই খুন। খোদ দিলীপবাবুকেই এই হত্যাকাণ্ডের নায়ক বলে অভিহিত করে তৃণমূল নেতৃত্ব।
দিলীপবাবুর দাবি, হাস্যকর অভিযোগ তৃণমূলের। তাঁদের কোনও নেতা-কর্মীও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। আমরা এই খুনের তদন্ত সিবিআই তদন্ত দাবি করছি। সিবিআই তদন্ত করে এই খুনের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করা হোক।