মিনাখাঁয় ধারালো অস্ত্রের কোপ স্বামীর যৌনাঙ্গে, সিলিং থেকে ঝুলছেন স্ত্রী, তদন্তে পুলিশ
ধারালো অস্ত্রের কোপে ছিন্নভিন্ন পুরুষাঙ্গ। বিছানায় পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন স্বামী। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে স্ত্রীর দেহ। মর্মান্তিক এই কাণ্ডকারখানা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিনাখাঁর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১১ নভেম্বর : ধারালো অস্ত্রের কোপে ছিন্নভিন্ন পুরুষাঙ্গ। বিছানায় পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন স্বামী। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে স্ত্রীর দেহ। মর্মান্তিক এই কাণ্ডকারখানা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। সকালে ছেলে-বউমার ঘরে প্রবেশ করেই চক্ষু চড়কগাছ মায়ের। আর্ত চিৎকার করেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দাম্পত্য কলহের জেরেই এই ঘটনা।
খুন না আত্মহত্যা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গৃহবধূর বাপের বাড়ির তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম সাগরিকা মান্না। জখম স্বামী মহাদেব মান্না হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। বুধবার জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে বেরিয়েছিলেন দম্পতি। ঠাকুর দেখতে গিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। বাড়ি ফিরেও অশান্তির রেশ চলতে থাকে। তারপরই এই ঘটনা। অভিযোগ, স্বামীর যৌনাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে সাগরিকা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মিনাখাঁর চৈতল গ্রামের মহাদেব মান্নার সঙ্গে দু'বছর আগে বিয়ে হয় সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রামের সাগরিকার৷ কোনও সন্তান না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগেইছিল। মহাদেবের মনে কিছুদিন ধরেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে৷ এই নিয়েও তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। অভিযোগ, বুধবার রাতে মেলায় গিয়ে ওই যুবকের সঙ্গে সাগরিকাকে কথা বলতে দেখেন মহাদেব৷
এই নিয়ে মেলাতেই ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর। রাতেও প্রবল ঝগড়া হয়। সাগরিকার দাদা অশোক বারুইয়ের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। বউমা সাগরিকাই তাঁর ছেলের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে আন্তঘাতী হয়েছেন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ।