রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নাকি পুরনো শত্রুতা? শ্রীনু খুনের তদন্তে নেমে সূত্রের খোঁজে পুলিশ
শ্রীনু খুনের পিছনে আসল উদ্দেশ্য কি ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নাকি পুরনো শত্রুতা, শ্রীনু খুনের পিছনে আসল কারণ কি? আপাতত এটা খুঁজতেই ব্যস্ত পুলিশ।
খড়্গপুর, ১২ জানুয়ারি : মাফিয়া থেকে তৃণমূল নেতা হিসাবে উত্থান হয়েছিল খড়্গপুরের বাসিন্দা শ্রীনু ওরফে শ্রীনিবাস নাইডুর। বুধবার খড়্গপুরেই দলীয় কার্যালয়ে আড্ডা মারার সময়ে দুপুরে একদল দুষ্কৃতী এসে শ্রীনু সহ মোট পাঁচজনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ে থাকার সময়ই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে কলকাতায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।[তৃণমূল পার্টি অফিসে দুষ্কৃতী হামলা, শ্রীনু নাইডু-সহ মৃত ২]
শ্রীনু ছাড়া আরও তিনজন ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। এই ঘটনায় শ্রীনুর সঙ্গেই খুন হয়েছেন ধর্মা রাও নামে তাঁর এক সহযোগী। তবে এই ঘটনার পিছনে আসল উদ্দেশ্য কি ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নাকি পুরনো শত্রুতা, শ্রীনু খুনের পিছনে আসল কারণ কি? আপাতত এটা খুঁজতেই ব্যস্ত পুলিশ।
সরকারি তরফে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সরকারি নিয়ম মেনেই তদন্ত হবে। আইন আইনের পথেই চলবে। তবে ভরদুপুরে তৃণমূল নেতা খুনের মতো ঘটনা এলাকায় ভয়ের আবহ তৈরি করেছে।
খড়্গপুরের আর এক মাফিয়া রামবাবুর জেলে যাওয়ার পরে শ্রীনুর উত্থান। রামবাবুর দলের সঙ্গে ঝামেলা তার লেগেই ছিল। রামবাবুর উপরে হামলার ঘটনা ঘটে ২০১০ সালে। সেই সময়ও অভিযোগ ওঠে শ্রীনু ও তার সাঙ্গপাঙ্গের বিরুদ্ধেই। খড়্গপুর এলাকায় নানা অপরাধে জড়িয়ে বহুবার জেলে গিয়েছে শ্রীনু। আর প্রতিবারই কিছুদিনের মধ্যে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।
শ্রীনুর স্ত্রী পূজা প্রথমে বিজেপিতে ছিলেন। পরে ভোটে জেতার পর তৃণমূলে যোগ দেন। শ্রীনুও জেল থেকে ছাড়া পান। এবং তিনিও তৃণমূলে যোগ দেন। এরপরে তৃণমূল কার্যলয়কেই নিজের আস্তানা বানিয়ে ফেলেছিলেন মাফিয়া বলে পরিচিত শ্রীনু।
তবে পুরনো ব্যবসায়িক অথবা মাফিয়া দলের মধ্যে থাকা শত্রুতার জেরেই কি খুন হতে হল শ্রীনু নাইডুকে? প্রাথমিক তদন্তের পর কিছুটা হলেও এমনটাই মনে করছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তবে এর পাশাপাশি অন্য সূত্রগুলিকে একজায়গায় করে দেখে তবেই এগোতে চান তাঁরা।